তাইওয়ানে সাত দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অর্ধশত ব্যক্তি।
দেশটির পাহাড়ি এলাকা হুয়ালিয়েনে পাথরের নিচে চাপা পড়ে একজন মারা গেছেন বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের দমকল বিভাগ।
বিজ্ঞাপন
দেশটির দমকল বিভাগ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে অন্তত একজন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যাটা অর্ধশত। ভূমিকম্পের ফলে হুয়ালিয়েন শহরের বেশ কিছু ভবন হেলে গেছে। তবে ভবনগুলোতে কত মানুষ আটকা পড়েছে তা বলা হয়নি।
বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৭ টা ৫৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর কম্পন তাইওয়ানের পাশাপাশি চীন, ফিলিপাইন এবং জাপানেও অনুভূত হয়েছে।
তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে জাপানের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের জেরে সুনামির আশঙ্কা রয়েছে তাইওয়ান ও তার প্রতিবেশী এই তিন দেশে। সুনামির সময় সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার (৯ ফুট) ছাড়িয়ে যেতে পারে।
মার্কিন ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, এপিসেন্টার তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল। ৭টা ৫৮ থেকে পরবর্তী কয়েক মিনিটে অন্তত ৯ দফা কম্পন হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।
ভূমিকম্পের সময়ের কথা বলতে গিয়ে এক বাসিন্দা বলেন, ‘যখন ভূমিকম্প প্রথম আঘাত হানে তখন ভেবেছিলাম বাড়ির পাশের উঁচু রাস্তা থেকে ট্রাকের গর্জন আসছে। তারপর গর্জনটি দ্রুত বড় হতে থাকে এবং আমার অ্যাপার্টমেন্টটি জাহাজের মতো সামনে পেছনে দোলাতে থাকে। আমি বই এবং অন্যান্য জিনিসপত্র সেলফ থেকে পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পাই।’
সকালের ওই ভূমিকম্পে বেশ কিছু ভবন হেলে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের পর লোকজন আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন।
১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাইওয়ানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ৪০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
এমআর