ভারতে কার্যকর হওয়া নাগরিকত্ব সংশধনী আইন (সিএএ) নিয়ে আবারও বার্তা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সিনেটের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান বেন কার্ডিন বলেছেন, ভারতীয় মুসলিমদের বিপাকে ফেলবে সিএএ। রমজান মাসেই এই আইন কার্যকর হওয়ায় গোটা বিষয়টা আরও খারাপ হয়ে উঠছে।
ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হওয়ার পর এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। কয়েকদিনের মধ্যেই ফের তোপ দাগলেন মার্কিন সাংসদ। খবর সংবাদ প্রতিদিনের
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ভারতের সুপ্রিম কোর্টে সিএএ মামলার শুনানি শুরু
গত সোমবার (১১ মার্চ) সিএএ কার্যকরের বিজ্ঞপ্তি জারির পরই বিশেষ বার্তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “গত ১১ মার্চ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেটা নিয়ে আমরা গভীরভাবে চিন্তিত। ভারতে কীভাবে এই আইন কার্যকর হবে, সেদিকে কড়া নজর রাখছি। গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম ধর্মীয় স্বাধীনতা আর সকল সম্প্রদায়ের সমানাধিকার।”
যুক্তরাষ্ট্রের এই মন্তব্যের বিরোধীতা করে ভারত জানায়, ভুল তথ্যের ভিত্তিতে এমন অযৌক্তিক বার্তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে ভারতের বার্তার পরও মার্কিন প্রশাসনের মনোভাব বদলায়নি। সোমবার (১৮ মার্চ) ডেমোক্র্যাট সিনেটর বেন কার্ডিন এক বিবৃতিতে বলেন, “বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাশ করেছে ভারত সরকার, সেটা নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। এই আইনের ফলে খুবই সমস্যায় পড়তে পারেন ভারতীয় মুসলিমরা। এছাড়া রমজান মাসেই এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। তাতে বিষয়টা আরও খারাপ হচ্ছে। আগের তুলনায় ভারত-আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত হচ্ছে। কিন্তু ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের মানবাধিকার যেন সুরক্ষিত থাকে, সেটাও লক্ষ্য রাখা উচিত আমাদের এই সহযোগিতার ক্ষেত্রে।”
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
এক প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন বলেছে, মার্কিন সিনেটের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কমিটির চেয়ারম্যান কার্ডিন। তার মন্তব্যের যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয় মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে।
সিএএর ফলে ভারতীয় মুসলিমদের নাগরিকত্ব যাবে না বলে দাবি করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে তার বক্তব্যের পরও নিজেদের অবস্থানে পরিবর্তন হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের।
একে