রমজানের আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি হবে কি-না সে সিদ্ধান্ত এখন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার দাবি, সশস্ত্র যোদ্ধাদের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি দিলেই অঞ্চলটিতে একটি দীর্ঘ ও বর্ধিত যুদ্ধবিরতি সম্ভব। তবে হামাসও তাদের শর্ত দিয়েছেন। এমন অবস্থায় গাজায় যুদ্ধবিরতির চলমান প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধস্থতাকারীদের তৃতীয় দিনের আলোচনা শেষে এমন মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।খবর রয়টার্সের।
বিজ্ঞাপন
এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, অসুস্থ, আহত, বয়স্ক এবং নারী জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় অন্তত ছয় সপ্তাহের তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির দাবি জানানো হয়। মঙ্গলবারের বৈঠকে এ বিষয়টিতেই জোর দিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
হোয়াইট হাউজের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যুদ্ধবিরতির এই প্রাথমিক পর্যায়ে গাজাবাসীকে দ্রুত গতিতে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা হবে এবং আরও স্থায়ী সমাধান এবং শান্তির জন্য সময় ও সুযোগ প্রদান করা হবে।’
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে কায়রোতে অনুষ্ঠিত আলোচনায় একটি ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে জিম্মিদের তালিকা প্রকাশ ও তাদের মুক্তি দেওয়ার শর্ত বেঁধে দেন নেতানিয়াহু। এছাড়া, মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ রুখতে রোজা শুরুর আগেই গাজায় সাহায্য পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়, যা আগামী সপ্তাহের শুরুতেই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে হামাস মঙ্গলবার দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে যে গাজায় থাকা অবশিষ্ট ১৩৪ জন বন্দীকে মুক্তির জন্য যেকোনো চুক্তি করার আগে অবশ্যই স্থায়ী যুদ্ধবিরতি বাস্তায়ন করতে হবে। ফলে পবিত্র রমজান মাসের আগেই অস্ত্রবিরতি করার যে উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্র গ্রহণ করেছিল, তা ব্যর্থ হয়ে গেছে বলেই মনে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হামাসকে কি সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব?
সিনিয়র হামাস নেতা ওসামা হামদান বৈরুতে বলেন, 'গত দু'দিনে ভ্রাতৃপ্রতীম কাতারি ও মিসরীয় মধ্যস্ততাকারীদের কাছে হামাস তাদের প্রস্তাব উত্থাপন করেছে।'
একে
