শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

‘বিয়ে না দিলে স্কুলে যাব না’, ১৩ বছরের বালকের কাছে হার মানল পরিবার!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

‘বিয়ে না দিলে স্কুলে যাব না’, ১৩ বছরের বালকের কাছে হার মানল পরিবার!
ছবি: সংগৃহীত

বিয়ে না দিলে আর পড়াশোনা করবে না। বাবা-মাকে এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ১৩ বছরের ছেলে। শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে তার ১২ বছর বয়সি প্রেমিকার সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করল দুই পরিবার। 

ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে। বাগদানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিন্দুস্তান টাইমস।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ইসলামপন্থী দলগুলোর ভরাডুবির কারণ কী?

পাকিস্তানে ছেলে ও মেয়ের বিয়ের ন্যূনতম বয়স আইনিভাবে নির্দিষ্ট রয়েছে। সেখানে বাল্য বিবাহের ওপর বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও প্রকাশ্যে এমন ঘটনায় হতবাক সকলে। সাধারণত পাকিস্তানে পুরুষদের জন্য বৈধ বিবাহের বয়স হল ১৮ বছর এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৬ বছর। যদিও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিবাহের জন্য নারী পুরুষ উভয়ের বয়স ১৮ বছর হওয়া দরকার।

সিন্ধু প্রদেশ ২০১৩ সালে উভয় লিঙ্গের জন্য বিবাহের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর করার জন্য আইন পাশ হয়েছিল। তবে তা দেশব্যাপী কার্যকর করা হয়নি।

খবরে বলা হয়েছে, ছেলেটি বাবা মাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, ওই মেয়েটির সঙ্গে তার বিয়ে দিলে তবেই সে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। এরপর দুই পরিবার বিবাহে সম্মত হয় এবং তাদের পরিবার তাদের বাগদান সম্পন্ন করে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দুই পরিবার বিয়ের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। মেয়েটির মা নিজেও ১৬ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন। তিনি নিজের কথা বলে এই বিয়েকে সঠিক সিদ্ধান্ত বলেই জানিয়েছেন। আবার ছেলেটির মা ২৫ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন। তিনিও এই বিয়েতে সম্মত হয়েছেন। তার মতে, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত। তার ছেলের এত কম বয়সে বিয়ে করার ইচ্ছাকে সমর্থন করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: এক ডিম ৩৪ রুপি, মুরগির কেজি ৬১৫: কোন পথে পাকিস্তান

দুই পরিবারের এমন সমর্থনে হতবাক নেটিজেনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন লিখেছেন, ‘এটি খুব বেশি হয়ে গিয়েছে। এটা একাব্রেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। আরেকজন লিখেছেন, ‘ছেলেটির বাগদান হয়েছে। তার বাবা একমাত্র ছেলের খুশির জন্য এই কাজটি করেছেন।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘যদি ভিডিয়ো ভাইরাল করার জন্য এসব করা হয় তাহলে সবই পূর্ব পরিকল্পিত ছিল।’

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর