শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

যুদ্ধবিমানকে ‘অদৃশ্য’ করে তুলবে চীনের নতুন প্রযুক্তি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:০৬ পিএম

শেয়ার করুন:

যুদ্ধবিমানকে ‘অদৃশ্য’ করে তুলবে চীনের নতুন প্রযুক্তি!
প্রতীকী ছবি/সংগৃহীত

চীনা বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা সামরিক বিমানের জন্য প্লাজমা স্টিলথ ডিভাইস তৈরি করেছেন। এই ডিভাইসটি প্রায় যেকোনো বিমানকে রাডারে অদৃশ্য করে দিতে পারে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।

খবরে বলা হয়েছে, পুরনো সংস্করণের বিপরীতে এই নতুন প্রযুক্তি রাডার স্ক্রিন থেকে লুকানোর জন্য রাডার গম্বুজ বা ককপিটের মতো বিমানের নির্দিষ্ট অংশগুলোকে লক্ষ্য করতে পারে। এটিকে 'ক্লোজড ইলেক্ট্রন বিম প্লাজমা স্টিলথ ডিভাইস' বলা হয়।


বিজ্ঞাপন


প্লাজমা স্টিলথ প্রযুক্তি আয়নিত গ্যাস বা প্লাজমা ব্যবহার করে প্লেনকে রাডারে কম দৃশ্যমান করার চেষ্টা করে। হাইপারসনিক যানবাহন বা অস্ত্রগুলো যখন খুব দ্রুত চলে, তখন তারা একটি প্লাজমা ক্লাউড তৈরি করে যা রাডার তরঙ্গ শোষণ করে বা ব্যাহত করে এবং রাডার সিস্টেম থেকে লুকিয়ে রাখে।

সন্তানরা খোঁজ নেন না, পোষ্যদের লিখে দিলেন ২৩ কোটির সম্পত্তি!

চীনের জে-১০সি, জে-১৬ জেট বিমানে এই প্রযুক্তি লাগানোর ফলে এগুলো কার্যত ‘অদৃশ্য’ হয়ে যাবে। শত্রুদেশের রাডার এদের নাগাল পাবে না। বিজ্ঞানীদের দাবি, তারা এই দুঃসাধ্য সাধন করেছেন। প্লাজমা বেসড এই ডিভাইস যে কোনও যুদ্ধবিমানকে ম্যাজিকের মতো অদৃশ্য করে দিতে সক্ষম। বিমানের বাইরের অংশে এর প্রলেপ দিলে কোনও রাডার এর গতিবিধি ধরতে পারবে না।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াল জানিয়েছে, শুধু ভারত কেন, যুক্তরাষ্ট্রের থেকেও কয়েক গুণ এগিয়ে চীনের এই কৌশল। এই প্রযুক্তির নাম দেওয়া হয়েছে প্লাজমা স্টেল্থ ডিভাইস। বর্তমান যুদ্ধকৌশলে বিশেষ ধরনের রাডার-প্রতিরোধক ডিজাইনের ফলে জেট বিমান অনেক সময় রাডারের নাগাল এড়াতে পারে। কিন্তু, চীনের দাবিমতো এই প্রযুক্তিতে গোটা বিমানই শত্রুর রাডার থেকে উধাও হয়ে যাবে। রাডারে ধরা না পড়লে এটিকে ঠেকানোও অসাধ্য হয়ে যাবে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: কমেই চলেছে চীনের জনসংখ্যা

এটা কিভাবে কাজ করে? ধারণাটি হলো- বিমানের চারপাশে প্লাজমার একটি স্তর তৈরি করা যা রাডার তরঙ্গ শোষণ বা বিচ্যুত করতে পারে এবং বিমানটিকে শনাক্ত করা কঠিন করে তোলে। এটি এখনও কতটা ভাল কাজ করে এবং কীভাবে এটি কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা।

প্রকল্পের একজন বিজ্ঞানী ট্যান চ্যাং বলেছেন, নতুন প্রযুক্তির বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, যেমন একটি সাধারণ নকশা, সামঞ্জস্যযোগ্য শক্তি এবং উচ্চ প্লাজমা ঘনত্ব। ট্যান এবং তার দল মনে করে যে, এই নতুন সমাধানটি বিভিন্ন সামরিক বিমানে ব্যবহার করা যেতে পারে, যাতে চীন তার সামরিক সক্ষমতা উন্নত করতে সহায়তা করে।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর