পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে ভোটগ্রহণের একদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পূর্ণাঙ্গ ফলাফল পাওয়া যায়নি। নির্বাচন কমিশন ঢিমেতালে ফলাফল ঘোষণা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এই ফলাফলে নির্বাচনে অযোগ্য হওয়া কারাবন্দি ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন।
পাকিস্তানের শীর্ষ গণমাধ্যম জংয়ের খবরে বলা হয়, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬৬টি আসনে জয় পেয়েছেন। তাদের বেশির ভাগই সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের নেতা। এছাড়া নওয়াজ শরিফের মুসলিম লিগ ৪৬টি এবং পিপলস পার্টি ৩২টি আসনে জয় পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানে ভোটপর্ব শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পাঁচটায়। কিন্তু তারপর ভোটগণনার কাজ খুবই ঢিমে গতিতে এগিয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে সামান্য কিছু আসনের ফলাফল জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
পিটিআই নেতা ওমর আয়ুব খান অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনপরবর্তী রিগিং হচ্ছে। তিনি রিটার্নিং অফিসারদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তারা যেন এই ধরনের কোনো রিগিং না করেন।
রাওয়ালপিন্ডির পিটিআই সমর্থিত প্রার্থী বশারত রাজা বলেছেন, এখানে ফলাফল নিয়ে কারচুপি করা হয়েছে। তিনি আসলে এই কেন্দ্রে ৫০ হাজার ভোটে জিতেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো ভোটকেন্দ্রেই লিড পাননি।
বিজ্ঞাপন
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ লাহোরের একটি কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। নওয়াজ শরিফ একটি আসনে হারলেও অন্যটিতে সামান্য ভোটে জিতেছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম।
ইমরানের পিটিআই এবার দল হিসেবে লড়তে পারেনি। তবে তারা স্বতন্ত্র বা নির্দলদের সমর্থন করেছে। নির্দলরা ভোটে লড়েছেন। প্রাথমিক ফলে দেখা যাচ্ছে, পিটিআই সমর্থিত নির্দলরা নওয়াজ শরিফ ও ভুট্টোর দলকে রীতিমতো নাকানি-চুবানি খাওয়াচ্ছেন।
ভোটগণনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, ইন্টারনেট সমস্যার জন্য ভোটগণনার ক্ষেত্রে এত দেরি হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভোটের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।
এর আগে ভোটগ্রহণের দিনে পাকিস্তানজুড়ে বন্ধ রাখা হয় মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট চল বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্র দখলের পাশাপাশি গ্রেনেড হামলা হয়। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর ১০ জনসহ নিহত হন ১২ জন।
জেবি