পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টা পর শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ১২টি আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে, যার মধ্যে কারাবন্দি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্ররা পাঁচটি, পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) তিনটি ও নওয়াজ শরীফের মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন) চারটিতে জয় পেয়েছে। দ্য ডনের খবর।
তবে স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টিভি বলছে, প্রাথমিক গণনায় ১২৫ আসনে এগিয়ে রয়েছে পিটিআই সমর্থিতরা। অন্যদিকে ৪৪ আসনে এগিয়ে রয়েছেন নওয়াজের শরিফের দলের প্রার্থীরা। পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগেই। তাই ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে।
বিজ্ঞাপন
কোনো দল এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে এবার ১৩৪টি আসনে জিততে হবে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাকিস্তানে এবার কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও পেতে পারে।
গত নির্বাচনে জয়ী দল পিটিআই–সমর্থিত প্রার্থীদের সঙ্গে পিএমএল-এনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন, এবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে থাকা নওয়াজকে সমর্থন দিচ্ছে পাকিস্তানে ক্ষমতাধর হিসেবে পরিচিত সামরিক বাহিনী।
এদিকে বিলম্বে ফল ঘোষণা শুরুর বিষয়ে জানতে চাইলে পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) বিশেষ সচিব জাফর ইকবাল রয়টার্সকে বলেন, ‘ইন্টারনেট ইস্যুতে’ ফল ঘোষণায় বিলম্ব হয়েছে। তবে বিস্তারিত কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি।
এর আগে ভোট গ্রহণের দিনে পাকিস্তানজুড়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল মুঠোফোন সেবা। দেশটির অনেক অঞ্চলে ইন্টারনেট বন্ধ থাকা কিংবা গতি কম থাকার খবরও জানা গিয়েছিল। মূলত নিরাপত্তার স্বার্থে এই উদ্যোগ নেয় দেশটির সরকার। তবে আজ পাকিস্তানে মুঠোফোন সেবা চালু রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮ টায় শুরু হওয়া ভোট চলে, বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্র দখলের পাশাপাশি গ্রেনেড হামলা হয়। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর ১০ জনসহ নিহত হন ১২ জন।
/এএস