বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে শঙ্কা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম

শেয়ার করুন:

ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে শঙ্কা
ছবি: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষ-বিরতির আলোচনা এখনো কোনো সমাধানসূত্রে পৌঁছাতে পারেনি বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ইসরায়েল স্থায়ী সংঘর্ষ-বিরতিতে যেতে নারাজ। আর স্থায়ী সংঘর্ষ-বিরতি ছাড়া আলোচনা চায় না হামাস। ইসরায়েল সব পণবন্দীর মুক্তি চায়। হামাসের বক্তব্য, সমস্ত ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে পণবন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু নেতানিয়াহু এখনো এই বক্তব্য মেনে নেননি।

সংঘাত বিষয়ক একটি সংস্থার প্রধান অলিভার ম্যাকটারনান বলেন, 'প্যারিসে যে সংঘর্ষ-বিরতি নিয়ে বৈঠক হয়েছে, তা কোনো সমাধানসূত্রে পৌঁছাতে পারেনি। বস্তুত, আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়েই আছে।' খবর ডয়চে ভেলের


বিজ্ঞাপন


যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, মিশর এবং ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা প্যারিসের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত হামাসকে পাঠানো হয়েছিল। সাময়িক সংঘর্ষ-বিরতি এবং পণবন্দিদের মুক্তির দাবি ছিল সেই সিদ্ধান্তে। হামাস এখনো এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।

আরও পড়ুন: ধ্বংসস্তুপ পুরো গাজা, এখনও অক্ষত ৮০ শতাংশ টানেল: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

হামাসের সূত্র অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে যে, ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে তারা সহমত নয়। তাদের দাবিগুলো সামনে এনেছে হামাস। সেখানে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের কারাগারে যত ফিলিস্তিনি বন্দী আছে, সকলকে মুক্তি দিতে হবে। তার বিনিময়ে সমস্ত পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এছাড়া স্থায়ী সংঘর্ষ-বিরতির রাস্তায় যেতে হবে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু অবশ্য সে পথে হাঁটতে নারাজ। সমস্ত ফিলিস্তিনি বন্দীকে তিনি মুক্তি দিতে চান না। স্থানীয় সংঘর্ষ বিরতির রাস্তাতেও হাঁটতে চায় না ইসরায়েল।


বিজ্ঞাপন


এই পরিস্থিতির মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। দুইপক্ষের আলোচনায় তিনিও যোগ দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। কীভাবে একটি সমাধানসূত্রে পৌঁছানো যায়, সেই ব্যবস্থা করতে পারেন ব্লিংকেন।

ম্যাকটারনান বলেন, এখনো পর্যন্ত এই সংঘর্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এক আশ্চর্য ভূমিকা পালন করছে। একদিকে যেমন তারা গাজার সাধারণ মানুষের কথা বলছে, অন্যদিকে ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে। নেতানিয়াহুকে টিকিয়ে রাখতে রাজনৈতিক সমর্থন দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: গাজা থেকে আহত সেনা ফেরাতে ১৫০০ অভিযান ইসরায়েলের

ম্যাকটারনানের বক্তব্য, সময় এসেছে, এবার ব্লিকংনেকে বলতে হবে, অনেক হয়েছে আর নয়। ইসরায়েলকে আর অস্ত্র সাহায্য করা হবে না। রাজনৈতিক সমর্থন দেওয়া হবে না। যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। গাজার বেসামরিক মানুষকে সুরক্ষা দিতে হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখনো সে পথে হাঁটছে না।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আকাশ, স্থল ও সমুদ্র থেকে ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ ঘণ্টায় নিহত হয়েছে ২৩৪ জন। এর মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় নিহতের সংখ্যা ১২৭ জন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ।

জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ তার দৈনিক আপডেটে জানিয়েছে, ২ ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলের মধ্যে গাজায় কমপক্ষে ২৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩৪৩ জন আহত হয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে ভূখণ্ডটিতে ২৭ হাজার ৩৬৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৬৬ হাজার ৬৩০ ফিলিস্তিনি।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর