রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

মিসাইল ছুড়েই চলেছে উত্তর কোরিয়া, যুদ্ধ চান কি কিম?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:০৮ পিএম

শেয়ার করুন:

মিসাইল ছুড়েই চলেছে উত্তর কোরিয়া, যুদ্ধ চান কি কিম?
ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

উত্তর কোরিয়া তাদের পূর্ব উপকূলের দিকে অনেকগুলো ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী। কয়েক মাস ধরে পারমাণবিক শক্তিধর এই সমাজতান্ত্রিক দেশটি টানা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে যাচ্ছে, যা এই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।

রোববার মিসাইল নিক্ষেপ করা হয় সিনপো বন্দরের কাছে। তবে সেগুলো ঠিক কতগুলো এবং কী ধরনের মিসাইল তা এখনও পরিষ্কার নয়। এর আগে বুধবার উত্তর কোরিয়া পুলওয়াসাল-৩-৩১ নামের একটি নতুন কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে বলে জানায় দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সি।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: আরও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার সকাল আটটায় নতুন করে কয়েকটি মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়। এ ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ বলেন, 'আমাদের সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে আর কোনও প্ররোচনা আসে কি না।'

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন কথা বার্তা, নীতিনির্ধারণে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছেন। পিয়ংইয়ং দাবি করে আসছে, তারা জানুয়ারি মাসের শুরু থেকেই পুরোপুরি জ্বালানি নির্ভর মিসাইল ও পানির নিচে ড্রোন দিয়ে আক্রমণের সফল পরীক্ষা করে আসছে, যার মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্রও বহন করা সম্ভব হতে পারে।

দেশটি গত দুই বছর ধরে প্রায় প্রতি মাসে মিসাইল নিক্ষেপ ও অস্ত্র পরীক্ষা করে আসছে। এই মাসের শুরুর দিকে কিম ঘোষণা দেন যে, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে পুর্নমিলনের সমস্ত সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে। দক্ষিণ কোরিয়া এখন তাদের ‘প্রধান শত্রু’।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: প্রার্থী একজনই, ভোট দিয়ে করতে হয় উল্লাস!

তার এমন বক্তব্য উত্তর কোরিয়া যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ন সুক ইয়ল এ মাসে কেবিনেটে বলেন, যদি উত্তর থেকে কোনও ধরনের প্ররোচনা আসে তাহলে দক্ষিণ সেটা হাজারগুণ শক্তিতে প্রতিরোধ করবে।

কিছুদিন আগে সাবেক সিআইএ বিশেষজ্ঞ রবার্ট এল কার্লিন ও পরমাণু বিজ্ঞানী সিগফ্রাইড এস হেকার, যিনি বেশ কয়েকবার উত্তর কোরিয়া ভ্রমণ করেছেন, তারা থার্টি এইট নর্থ ওয়েবসাইটে এক প্রতিবেদনে লিখেছেন, আমাদের বিশ্বাস, ১৯৫০ সালে তার দাদার মতো, কিম জং উনও যুদ্ধের একটা কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে অনেকেই এ বিষয়ে একমত নন।

আরও পড়ুন: পশ্চিমা হুমকিকে পাত্তা দিচ্ছেন না কিম!

নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক ক্রাইসিস গ্রুপের কোরিয়া বিষয়ক বিশ্লেষক ক্রিস্টোফার গ্রিন বলেন, নিজেদের পুরো শাসন ব্যবস্থাকে এক বিপর্যয়মূলক সংঘাতের দিকে ঠেলে দেয়া ঠিক উত্তর কোরিয়ার নীতি নয়। তাদের নির্দয় কৌশলী নীতি প্রমাণিত।

তিনিসহ অন্য বিশ্লেষকরা মনে করিয়ে দেন যে উত্তর কোরিয়া প্রায়শই পশ্চিমাদের আলোচনার টেবিলে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক চাপও আছে। কিন্তু তারা এ বিষয়ে একমত যে কিমের ক্রমশ আক্রমণাত্মক আচরণ এখন আর অগ্রাহ্য করার উপায় নেই এবং তার প্রশাসন দিনদিন আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর