গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এ ধরনের ইসরায়েলি অভিযানকে জনগণের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর অপরাধ’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এরপরও ইসরায়েলের সেনাপ্রধান হারজি হালেভি বলেছেন, হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ “আরও অনেক মাস” চলবে।
আরও পড়ুন: ৮০ ফিলিস্তিনির লাশ হস্তান্তর করেছে ইসরায়েল, বেশিরভাগই টুকরা
মঙ্গলবার ইসরায়েল বলেছে, তারা গাজার ১০০ টিরও বেশি স্থানে হামলা করেছে।
বুধবার ভোররাতে গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
বিজ্ঞাপন
অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, তুলকারেমের নুর শামস শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় ছয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৮২ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ইসরায়েল দূতাবাসের পেছনে বিস্ফোরণ
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ১১ সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা লড়াইয়ে কমপক্ষে ২০ হাজার ৯১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হতাহতদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী।
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান পর্যন্ত জানায়নি।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।
ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’
সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি
এমইউ