শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ভারতে গত ৭ মাসে করোনায় মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:০৬ পিএম

শেয়ার করুন:

ভারতে গত ৭ মাসে করোনায় মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ
করোনাভাইরাস (ফাইল ফটো)। ছবি: এবিসি নিউজ

ভারতে গত ৭ মাসে করোনায় মৃতের সংখ্যা সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আবারও সেখানকার বিভিন্ন অঞ্চলে কোভিডের তীব্র সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। চলতি বছরের মে মাস থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত এক দিনে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। 

বৃহস্পতিবার সারা ভারতজুড়ে মোট ছয়জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কেরালায় তিনজন, কর্নাটকে দু’জন এবং পাঞ্জাবে একজন মারা গেছেন। এক দিনে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির নেপথ্যকারণও জানানো হয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: ভারতে নতুন প্রজাতির করোনার তীব্র সংক্রমণ, বাড়ছে মৃত্যু

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯৪ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কোভিডে আক্রান্ত হয়ে যে ছয়জন মারা গেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তারা সকলেই গুরুতর অসুখে দীর্ঘ কাল ধরে ভুগছিলেন। শুধুমাত্র করোনায় আক্রান্ত হয়ে তারা মারা যাননি বলেই দাবি করেছে তারা।

করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি জেএন.১-এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় হঠাৎ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি কোভিডের নয়া ধরণ জেএন.১-কে ‘ভ্যারিয়্যান্ট অফ ইন্টারেস্ট’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। কিন্তু হু-এর পাশাপাশি ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, করোনা ভাইরাসের নতুন এ প্রজাতির সংক্রমণের ফলে মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় নেই বললেই চলে। তা ছাড়া এই উপরূপটি আগের উপরূপের চেয়ে বেশি ক্ষতিকর নয় বলেও জানানো হয়েছে। কোভিডের প্রতিষেধক নিলে এর সংক্রমণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা যাবে।

তবে করোনার সংক্রমণ নতুন করে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা করার জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। দিল্লি, উত্তরাখণ্ড এবং মহারাষ্ট্র প্রশাসন ইতোমধ্যেই ‘জিনোম সিকোয়েন্সিং’-এর জন্য হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের কাছ থেকে নমুনা সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছে। বুধবার মহারাষ্ট্রে করোনায় প্রথম আক্রান্ত ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য বৈঠকে বসেছিলেন। শুক্রবার দুপুর ৩টায় মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই বৈঠকে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: ডাইনোসরের ডিমকে দেবতা ভেবে পূজা করছিল ভারতে গ্রামবাসী!

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র করোনার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, ‘‘করোনার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার সময় যে ভয়াবহতা ছড়িয়ে পড়েছিল, এখন আর সেই ভয় নেই। তখন বিমানবন্দরে কোভিড পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিমানে যাতায়াত নিয়েও সতর্কীকরণ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তার কোনো প্রয়োজন হবে না। এবার করোনায় কেউ আক্রান্ত হলেও তার উপসর্গ সামান্যই।’’

এর আগে করোনা ভাইরাসের আরও একটি উপরূপের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। যার নাম বিএ.২.৮৬। আমেরিকার রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জেএন.১ এবং বিএ.২.৮৬-এর মধ্যে ফারাক খুবই সামান্য। চীনে অবশ্য জেএন.১ প্রথম পাওয়া যায়নি। করোনার এই উপরূপটি প্রথম পাওয়া গিয়েছিল আমেরিকায়। গত সেপ্টেম্বরে তার খোঁজ মিলে। ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকায় যে ক’জন কোভিড রোগী এই মুহূর্তে আছেন, তাদের ১৫-২৯ শতাংশের দেহে রয়েছে জেএন.১ উপরূপ। চীন, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর-সহ অন্যান্য দেশেও করোনার নতুন উপরূপের দেখা মিলেছে।

সূত্র : জি নিউজ, এবিপি

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর