ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ শহর ও স্পর্শকাতর স্থানে ড্রোন হামলার দাবি করেছে ইয়েমেনের হুথিরা। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ খবর দিয়েছে।
আরব নিউজ জানিয়েছে, শনিবার ইয়েমেনের হুথি মিলিশিয়ারা ইসরায়েলের লোহিত সাগরের তীরবর্তী শহর ইলাতের দিকে বিস্ফোরক ভর্তি ড্রোন দিয়ে হামলার দাবি করেছে।
বিজ্ঞাপন
হুথিদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেছেন, ‘ইলাতের "সংবেদনশীল" অবস্থানগুলোতে অনেকগুলো ড্রোন দিয়ে হামলা করা হয়েছে।’ এছাড়া তিনি ইসরায়েলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর স্থানে ড্রোন হামলা চালানোর দাবি করেন।
সারি বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা চলতে থাকবে।
আরও পড়ুন: গাজায় জিম্মিদের হত্যার পর ইসরায়েলে তীব্র বিক্ষোভ
তিনি মুসলিম উম্মাহ-সহ বিবেকবান ও স্বাধীনচেতা সব মানুষকে মজলুম ফিলিস্তিনিদের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিজ্ঞাপন
ইয়েমেনি হুথি বাহিনী আজ এমন সময় ইসরায়েলে ড্রোন হামলা চালালো যখন গতকালও তারা সাগরে ইসরায়েল অভিমুখী দু’টি পণ্যবাহী জাহাজে হামলা করেছে।
এর আগে ইসরায়েলের একটি জাহাজকে আটক করে নিজেদের উপকূলে নিয়ে গেছে হুথিরা। জাহাজটি এখনও ইয়েমেনি হুথি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। গাজায় হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তারা সাগরে ইসরায়েল অভিমুখী সব জাহাজ আটকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।
সৌদিভিত্তিক আল-আরাবিয়া টিভির খবরে আরও বলা হয়েছে যে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী একটি পণ্যবাহী জাহাজে ইয়েমেন থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে এবং ওই সময় জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার, হুথিরা বলেছে যে তারা লোহিত সাগরে বোমা বোঝাই ড্রোন দিয়ে একটি পণ্যবাহী জাহাজে আক্রমণ করেছিল।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে চীন, সৌদি আরব ও ইরান
মঙ্গলবার হুথি গোষ্ঠী বলেছে যে তারা লোহিত সাগরে ইসরায়েল-গামী নরওয়েজিয়ান জাহাজে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
১৯ নভেম্বর হুথি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে গ্যালাক্সি লিডার নামের একটি বাণিজ্যিক জাহাজকে আটক করে এবং সেটিকে হোদেইদায় নিয়ে আসে।
বর্তমানে হুথি গোষ্ঠী ইয়েমেনের রাজধানী সানা এবং কৌশলগত বন্দর শহর হোদেইদাহ-সহ উত্তর ইয়েমেনের বেশিরভাগ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে।
সূত্র : আরব নিউজ, জিনহুয়া, আল-মাসিরাহ নেট
এমইউ

