তীব্র গরমে নাজেহাল সবাই। একদিকে রমজান মাস অন্যদিকে এমন গরম সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে বাংলাদেশে যে গরম পড়ছে তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ তাপমাত্রা রয়েছে এমন কয়েকটি স্থান বিশ্বে রয়েছে। অবাক করা বিষয় হলো সেসব স্থানে মানুষের বসবাসও রয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার ডেড ভ্যালিকে বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত জায়গা হিসেবে অভিহিত করা হয়। বিস্তীর্ণ মরুভূমির এই এলাকার তাপমাত্রা ৫৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৩৪.১ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছোঁয়ার রেকর্ড রয়েছে। ডেড ভ্যালিতে গ্রীষ্মকালের ভয়াবহ গরম সহ্য করেও কয়েকশ মানুষ বাস করেন।
বিজ্ঞাপন
পৃথিবীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সম্পর্কিত নতুন একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ইরানের লুত (দাস্ত-ই-লুত) এবং উত্তর আমেরিকার সনোরাল অঞ্চলের তাপমাত্রা আরও বেশি চরম। এই দুই মরুভূমি এলাকার তাপমাত্রা মাঝে মধ্যে ৮০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৭৭.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ছুঁয়ে যায়।
বিজ্ঞানীদের কাছে, লুত মরুভূমি বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত জায়গা হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। ২০০২ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এই এলাকার তাপমাত্রা বীভৎস হয়ে উঠেছিল। এলাকাটি পাহাড়ে ভরা, যার কারণে গরম বাতাস আটকে থাকে। প্রায় ২০০ মাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত লুত মরুভূমি, এখানকার তাপমাত্রায় শরীরে ফোস্কা পড়ে যায়।
নতুন আরও একটি গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, লুত মরুভূমি পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তপ্ত জায়গাগুলোর মধ্যে একটি। আগের গবেষণায়ও সর্বোচ্চ ৭০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১৫৯.৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট) তাপমাত্রা রেকর্ড করে লুত মরুভূমিকে বিশ্বের সবচেয়ে উত্তপ্ত জায়গা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল।
প্রথম গবেষণাটির পরে, নাসা তাদের স্যাটেলাইট সফটওয়্যারের নতুন ভার্সন প্রকাশ করে এবং এর মাধ্যমে পৃথিবীতে ভূ-পৃষ্ঠের তাপমাত্রা আরো ভালোভাবে শনাক্ত করা যায়। নাসার নতুন সফটওয়্যারের ডেটা বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বলেছেন, লুত মরুভূমির তাপমাত্রা আগের ধারণার চেয়ে আসলে আরও ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
বিজ্ঞাপন
সূত্র: ডেইলি মেইল
একে

