গাজায় ফিলিস্তিনিদের হামলায় নিহত ইসরায়েলি সেনাদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯৩ জন। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ খবর দিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধে তাদের আরও দুই সৈন্য নিহত হয়েছে। এছাড়া একজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নিহত দুই ইসরায়েলি সেনা স্থল অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন - ২৭১ তম ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের ৪১ বছর বয়সী এক সেনা, তিনি গাজা উপত্যকার দক্ষিণে লড়াইয়ের সময় নিহত হন। অপরজন হচ্ছেন - ৬৯৯তম ব্যাটালিয়নের একজন ২৮ বছর বয়সী সেনা, তিনি গাজা উপত্যকার উত্তরে লড়াইয়ের সময় নিহত হন।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধে জটিলতা বাড়াচ্ছে ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র
ইসরায়েলি সূত্রের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজায় স্থল আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ৯৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে।
তবে সর্বশেষ মৃত্যুর এ বিষয়টি নিহত সেনাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
বিজ্ঞাপন
অক্টোবরের শেষ দিকে হামাসের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে হামাস-সহ বিভিন্ন ফিলিস্তিনি সংগঠন ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গাজা উপত্যকার নিরপরাধ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের ওপর প্রায় দুই মাস ধরে ইসরায়েল পাশবিকতা চালিয়ে গেলেও কোনো পশ্চিমা দেশ বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন পর্যন্ত তেল আবিবকে আগ্রাসন বন্ধ করার আহ্বান পর্যন্ত জানায়নি।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৭ হাজার ১৭৭ জন। বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে।
গাজার সরকারি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শতকরা ৭০ ভাগ নারী ও শিশু।
হামাস পরিচালিত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের হামলায় আরও ২ ইসরায়েলি সেনা নিহত
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সেদিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।
ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’
সূত্র : আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, আনাদোলু এজেন্সি
এমইউ