শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

উপকূলের কাছাকাছি ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম, চেন্নাইয়ে নিহত ৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৪৮ এএম

শেয়ার করুন:

উপকূলের কাছাকাছি ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম, চেন্নাইয়ে নিহত ৮
ছবি: এনডিটিভি

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে আছড়ে পড়ার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুইদিন ধরে ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে ওই এলাকায়। পানির নিচে চলে গেছে ভারতের চেন্নাই শহর। এখন পর্যন্ত ৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে প্রশাসন।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, শিগগিরই উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। এর ফলে এক থেকে দেড় মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হতে পারে। এতে প্লাবিত হবে দক্ষিণ উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের নিচু অঞ্চলগুলো।


বিজ্ঞাপন


খবরে বলা হয়েছে, বাপটলা এবং কৃষ্ণা জেলাগুলোর উপর দিয়ে সর্বোচ্চ ঝড়ের প্রকোপ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ব্যাপক শক্তি নিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে, যার সর্বোচ্চ স্থিতিশীল বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

আরও পড়ুন: গতি নিয়ে এগোচ্ছে মিগজাউম, কখন কোথায় আছড়ে পড়বে?

অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার আটটি জেলার জন্য সতর্কতা জারি করেছে। সেগুলো হলো- তিরুপতি, নেলোর, প্রকাশম, বাপটলা, কৃষ্ণা, পশ্চিম গোদাবরী, কোনাসিমা এবং কাকিনাদা। পুদুচেরির উপকূলীয় অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেখানে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইএস জগন মোহন রেড্ডি বলেন, ঝড়টিকে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি এড়াতে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


রেড্ডি জানিয়েছেন, নিচু এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং তাদের থাকার জন্য ৩০০টিরও বেশি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে কথা বলেছেন এবং তাদের কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় সমস্ত সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত দলগুলো আরও সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র সতর্ক করেছেন যে, অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলীয় শহরগুলোতে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।

আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে পানির নিচে চেন্নাই

ভারতের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর ও মছলিপত্তনামের মাঝামাঝি বাপাটলা উপকূলে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে। সেই সময় এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার, সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি কোনো প্রভাব না পড়লেও পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে বৃষ্টি হতে পারে। কিছুটা উত্তাল থাকবে সমুদ্র উপকূল।

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে ভারতের চেন্নাইয়ে সোমবার সকাল থেকে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। ভারি বৃষ্টিতে নগরীর বেশিরভাগ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বিমানবন্দরের রানওয়ে প্লাবিত হওয়ায় বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার প্রস্তুতি হিসেবে তামিলনাড়ু সরকার জনগণকে সোমবার বাড়ির ভেতরে থাকার এবং বাড়িতে থেকেই কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে। বাসিন্দাদের দরজা-জানালা বন্ধ রাখার, জরুরি ও দামি জিনিসপত্র পানিরোধী পাত্রে রাখার এবং গাছের নিচে আশ্রয় না নেওয়ায় পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে শুকনা খাবার, পানীয় জল এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের মত গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ সংগ্রহ করে রাখতেও অনুরোধ জানানো হয়েছে।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর