দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। খান ইউনিস এবং রাফাহ এলাকায় আজ সকালে (রোববার) এ হামলা হয়।
আল জাজিরার প্রতিনিধি হানি মাহমুদ বলেছেন, "গত রাত পর্যন্ত চলমান ইসরায়েলি বিমান হামলায় খান ইউনিসের পূর্ব দিকের বেশিরভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানকার বাসিন্দাদের শহরের পশ্চিম দিকে বা রাফাহ শহরে সরে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।"
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সাধারণ ফিলিস্তিনিদের গাজার রাফাহতে যেতে বলছে। কিন্তু, ফিলিস্তিনিরা যখন ওই অঞ্চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে, তখন তাদের ওপর বোমা হামলা করছে ইসরায়েলের সেনারা। এখন সবচেয়ে বড় সত্য হচ্ছে এই যে গাজায় কোনো নিরাপদ স্থান নেই।
হানি মাহমুদ বলেন, খান ইউনিসের এলাকায় শত শত বাসিন্দা এখনও আটকা পড়ে আছে। কারণ, শহরের অন্যান্য অংশে বা আরও দক্ষিণে যাওয়ার প্রধান রাস্তাগুলো ধ্বংস বা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইসরায়েলি বিমান হামলায়। ইসরায়েলের সেনারা এসব রাস্তা দিয়ে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করছে। গাজার উত্তরে ইসরায়েলি হামলায় ৫০টি বাড়ি ধ্বংস হওয়ার পর উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে অন্তত ১০টি মৃতদেহ বের করেছে।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে হাজার হাজার লোক তাবু অথবা বোমা হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ভেতরেই বসবাস করছে।
যদিও এইদিকে উত্তরের মতো ততোটা ভয়াবহ ধ্বংস হয়নি, তবে কোরি স্কার ও জ্যামন ফন ডেন হোয়েকের বিশ্লেষণ অনুযায়ী শহরের অন্তত ১৫ শতাংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ইসরায়েলি সেনারা গাজার মানুষদের যেমন উত্তর থেকে সরিয়ে দিয়েছে, তেমনি পুরো উপত্যকাকে পশ্চিমের দিকে আলাদা করে ফেলেছে, যাতে দক্ষিণ থেকে গাজা শহরকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা যায়।
গাজা শহরের দক্ষিণ অঞ্চল থেকে নেওয়া ছবিতে আমরা দেখতে পাই যে এক সময় মানুষে পরিপূর্ণ এই আবাসিক এলাকা ইসরায়েলি সেনারা ভারী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পুরোপুরি ফাঁকা করে দিয়েছে এবং পশ্চিম ভূমধ্যসাগর তীর অভিমুখে বুলডোজার দিয়ে একটা রাস্তা বানিয়ে নিয়েছে।
একইসাথে ট্যাঙ্কসহ কয়েক ডজন সামরিক বাহন ও তার পেছনে যোদ্ধাদের দেখা যাচ্ছে।
স্যাটেলাইটের ছবিতে আরও দেখা যায়, গাজার আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটা খোলা চারকোণা জায়গায় মাটিতে গাড়ি চলার রাস্তা বানিয়ে ইসরায়েলের প্রতীক ‘স্টার অফ ডেভিড’ তুলে ধরা হয়েছে।
সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি
এমইউ