ফিলিস্তিন ও লেবানন থেকে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা শুরু হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় বোমাবর্ষণ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে ফিলিস্তিনি ও লেবানিজ প্রতিরোধ যোদ্ধারা পাল্টা আঘাত হানা শুরু করে।
প্রেস টিভি জানিয়েছে, ‘ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নতুন আগ্রাসনের শক্ত জবাব দিচ্ছে হামাস ও ইসলামি জিহাদ আন্দোলনের যোদ্ধারা। এর পাশাপাশি লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গেও ইসরায়েলের সংঘর্ষ হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, যত দিন গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসন অব্যাহত থাকবে, তত দিন লেবানন-ফিলিস্তিন সীমান্তে যুদ্ধ চলবে।
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড গতকাল (শুক্রবার) থেকে এ পর্যন্ত তেল আবিব, আশকেলন, আশদোদ, সেদরত, নেতিভোত ও বীরশেবা শহরে বহুসংখ্যক রকেট দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এর পাশাপাশি ইসরায়েলের রা’ইম সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা চালিয়েছে কাসসাম ব্রিগেড।
এছাড়া, উত্তর গাজায় হামাস যোদ্ধারা একটি ট্যাংক ও সৈন্য বহনকারী গাড়িসহ অনেক ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। বেইত হানুনের একটি ভবনে অবস্থান করা ইসরায়েলের একদল সেনাদের ওপর হামাস যোদ্ধারা চারটি গোলা নিক্ষেপ করে।
এদিকে জিহাদ আন্দোলনের সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের জবাবে কয়েকটি শহরে রকেট হামলা চালিয়েছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, কিসসুফিম কিবুৎজে ১০৭টি রকেট দিয়ে হামলা চালিয়েছে তারা।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া গাজা সিটির আল-রান্তিস হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের সঙ্গে কুদস ব্রিগেডের ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। ইসলামি জিহাদ আন্দোলন ইসরায়েলের একটি স্কাইলার্ক ড্রোন ভূপাতিত করতেও সক্ষম হয়েছে।
অন্যদিকে লেবানন থেকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারাও গাজার জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইসরায়েলের জাল আল-আলম, আল-মার্জ ও রামইয়াতে থাকা সেনাদের ওপর হামলা করেছে। এছাড়া, রামিম সামরিক ঘাঁটিতেও হামলা চালিয়েছে তারা।
এরপর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের কয়েকটি এলাকায় পাল্টা হামলা করে। এতে সে অঞ্চলের হুলা শহরের এক মা ও তার ছেলে মারা গেছে।
সূত্র : আল-জাজিরা, প্রেস টিভি
এমইউ