শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

৭ দিনের যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:১০ পিএম

শেয়ার করুন:

৭ দিনের যুদ্ধবিরতি পর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ শুরু
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে যে তারা গাজায় হামাসের সঙ্গে আবার যুদ্ধ শুরু করেছে। ছবি: সিএনএন

সাত দিনের যুদ্ধবিরতি শেষে আবার শুরু হয়েছে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে যে তারা গাজায় হামাসের সঙ্গে আবার যুদ্ধ শুরু করেছে।

যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ইসরায়েল বলেছিল যে তারা গাজা থেকে ছোড়া একটি রকেট ভূ-পাতিত করেছে। অপরদিকে ফিলিস্তিনি গণমাধ্যমগুলো উত্তর গাজায় বিস্ফোরণ এবং বন্দুকযুদ্ধের খবর জানিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


আল-জাজিরা আরবি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে গাজার ওপর দিয়ে ইসরায়েলি বিমান উড়তে দেখা গেছে এবং উত্তর-পশ্চিম গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গোলাবর্ষণ করেছে।

আরও পড়ুন: এবার ফিলিস্তিনিদের হামলায় ৩ ইসরায়েলি নিহত

ইসরায়েলের আর্মি রেডিও বলেছে যে তাদের সেনারা পুরো গাজাজুড়ে বোমাবর্ষণ করছে। ফিলিস্তিনি নিউজ আউটলেটগুলো উত্তর গাজার জাবালিয়া এবং খান ইউনিসের কাছে ইসরায়েলি বোমা হামলার খবর দিয়েছে।

আল-জাজিরা আরবিও দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বে ইসরায়েলি কামানের গোলাবর্ষণের খবর দিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এর আগে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি শুরুতে চার দিন স্থায়ী হয়েছিল এবং পরে দু’বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।

২৪ নভেম্বর যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গাজায় আটক ১১০ ইসরায়েলি মুক্তি পান। অপরদিকে ইসরায়েলিরা ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে।

আরও পড়ুন: ইরানের অভ্যন্তরে ইসরায়েলি গুপ্তচর নেটওয়ার্কের তথ্য ফাঁস!

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। সে দিন থেকেই ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গাজায় ভয়াবহ অভিযান শুরু করে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে যে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ছয় হাজার শিশু-সহ ১৪ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’

সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি, মিডল ইস্ট আই

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর