ব্রাসেলস এবং বুদাপেস্টের মধ্যকার চাঞ্চল্যকর একটি বিরোধের প্রেক্ষিতে হাঙ্গেরি ইউক্রেনের জন্য পাঁচ হাজার কোটি ডলারের ইউরোপীয় সহায়তা এবং কিয়েভের ইইউ সদস্যপদের প্রচেষ্টায় ভেটো দেয়ার হুমকি দিয়েছে।
১৪-১৫ ডিসেম্বর নির্ধারিত একটি গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সম্পর্কে উত্তেজনা প্রশমিত করার লক্ষ্যে ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল সোমবার হাঙ্গেরি সফর করেছেন। এ সময় তিনি হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: হাঙ্গেরিতে ঢোকার সময় ৪৩ বাংলাদেশি আটক
আশা করা হচ্ছে, ডিসেম্বরের শীর্ষ সম্মেলনে ইইউ রাষ্ট্র প্রধানরা ইউক্রেনের ইইউতে যোগদানের আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সোমবারের বৈঠকের পরে মিশেল বা অরবান কেউই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।
হাঙ্গেরি দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউক্রেনের জন্য ইইউর সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা নিয়ে বিরোধটি ক্রমবর্ধমান তিক্ত ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। কারণ আগামী জুনের ইউরোপীয় নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চলছে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ হাঙ্গেরিতে আইনের শাসন সম্পর্কে উদ্বেগের জন্য কোভিড-পরবর্তী উদ্দীপনা তহবিলের প্রায় ২৪০০ কোটি ডলার আটকে রাখছে ইইউ। ব্রাসেলস গণতন্ত্রের অবনমন নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ‘পুলিশ বাংলাদেশি দালালদের কাছে বিক্রি করে দেয়’
ইইউ হাঙ্গেরির আপত্তি কাটিয়ে ওঠার প্রয়াসে গত সপ্তাহে আটক করা তহবিল থেকে ১০০ কোটি ডলার অবমুক্ত করেছে। এটি স্পষ্ট নয় যে ডিসেম্বরে আসন্ন ইইউ শীর্ষ সম্মেলনে অরবানকে তার ভেটো হুমকি প্রদান থেকে বিরত রাখতে এটি যথেষ্ট হবে কি না।
হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যুদ্ধরত কোনো দেশের সাথে আলোচনার কোনো উপায় নেই। তিনি মস্কোর সাথে শান্তি আলোচনার জন্য কিয়েভকে আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেন বলেছে, রুশ বাহিনী তার ভূখন্ড ছেড়ে না যাওয়া পর্যন্ত তারা আলোচনায় বসবে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, স্লোভাকিয়ায় রবার্ট ফিকো এবং নেদারল্যান্ডসের গির্ট ওয়াইল্ডার্সের সাম্প্রতিক বিজয় অরবানকে উৎসাহিত করে থাকতে পারে। উভয় সমমনা নেতা ইউক্রেনের জন্য ইইউর সমর্থন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
একে