শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

লেবাননে ইসরায়েলি সেনাদের গোলাবর্ষণ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৬ পিএম

শেয়ার করুন:

লেবাননে ইসরায়েলি গোলাবর্ষণ 
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে গোলাবর্ষণ করছে ইসরায়েল (ফাইল ফটো)। ছবি: এপি

লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এ খবর দিয়েছে।

লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ‘মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ লেবাননের শহর আইতা আল-শাবের কাছে একটি এলাকায় ইসরায়েলি সেনারা গোলাবর্ষণ করেছে।’


বিজ্ঞাপন


ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলা চালানো হয়।

আরও পড়ুন: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে কাতার যেভাবে মধ্যস্থতাকারী হলো

এ যুদ্ধবিরতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে লেবাননকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। এর আগে শুক্রবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা আন্তঃসীমান্ত সংঘাত ও গুলি বিনিময় বন্ধ হয়ে যায়।

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সম্ভবত এখন একেবারে চূড়ান্ত ধাপে আছে।


বিজ্ঞাপন


যে যুদ্ধবিরতি চলছে ইসরায়েলি জিম্মি ও ফিলিস্তিনি বন্দী বিনিময়ের, সেটা হয়তো ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী- আইডিএফকে চার থেকে ৯ দিন দেরি করাবে। তবে সেটা নির্ভর করছে হামাস কতজন জিম্মিকে মুক্তি দিতে চায় তার ওপর।

অপরদিকে ইসরায়েল শপথ নিয়েছে, হামাস যেখানেই থাকবে, তাদের ধ্বংস করা হবে।

ধারণা করা হচ্ছে এই গোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও মোহাম্মদ দেইফ, আরও যোদ্ধাদের সঙ্গে দক্ষিণেরই কোথাও আছেন এবং খুব সম্ভবত ইসরায়েলি জিম্মিদের একটা বড় অংশও তাদের সঙ্গে আছে।

এখন যদি ইসরায়েল উত্তরে যেটা করেছে, সেই একই রকম অপারেশন দক্ষিণেও করতে চায়, তাহলে পশ্চিমাদের বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কি তখনও অটুট থাকবে?

গাজা উপত্যকার আনুমানিক ২২ লাখ মানুষ এখন দক্ষিণের দুই তৃতীয়াংশ অংশে এসে জমায়েত হয়েছে। তাদের অনেকেই এখন গৃহহীন ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সামনে কি তাহলে আরও বড় মানবিক বিপর্যয় অপেক্ষা করছে?

এছাড়া আল-মাওয়াইসিতে বালুময় মাঠের মধ্যে স্থাপিত তাবুতে আশ্রয় নেওয়া শত শত ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকও আছে।

আরও পড়ুন: মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দীকে ইসরায়েলিদের মারধর

ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউ) বলছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় ১৭ লাখ মানুষ গাজায় বাস্তুচ্যুত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগ এখন দক্ষিণে গাদাগাদি করে থাকছে।

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি ইতোমধ্যেই ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। কারণ হাজার হাজার লোক স্কুল, হাসপাতাল এবং তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে।

বিপদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের আগাম বৃষ্টি, যা কিছু জায়গায় বন্যাও নিয়ে এসেছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে একটা সমাধানের কথা বলা হচ্ছে – আর সেটা হলো আল মাওয়াইসির তথাকথিত “নিরাপদ অঞ্চল” তৈরি করা।

এটি হচ্ছে ভূমধ্যসাগরের পাশে একটা সংকীর্ণ কৃষি জমির এলাকা, যা মিসর সীমান্তের খুব কাছে অবস্থিত।

সূত্র : রয়টার্স, মিডল ইস্ট আই, বিবিসি 

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর