বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ইসরায়েলের মালিকানাধীন জাহাজে ইরানি ড্রোন হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:২৬ পিএম

শেয়ার করুন:

ইসরায়েলের মালিকানাধীন জাহাজে ইরানি ড্রোন হামলা
ভারত মহাসাগরে ইসরায়েলের মালিকানাধীন একটি জাহাজে সন্দেহভাজন ইরানি ড্রোন হামলা হয়েছে। ছবি: এপি,

ইসরায়েলের মালিকানাধীন জাহাজে ইরানি ড্রোন দিয়ে হামলা করা হয়েছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষ এ খবর দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘শুক্রবার ভারত মহাসাগরে ইসরায়েলের মালিকানাধীন একটি জাহাজে সন্দেহভাজন ইরানি ড্রোন হামলা হয়েছে।’


বিজ্ঞাপন


অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-কে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘এক ইসরায়েলি ধনকুবেরের মালিকানাধীন জাহাজটি আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় থাকাকালীন একটি ত্রিভুজ আকৃতির ড্রোন তাতে হামলা করে। বোমা বহনকারী শাহেদ-১৩৬ ড্রোন দিয়ে এ হামলা হয়।

আমেরিকার এ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বলেন, ড্রোনটি জাহাজে আঘাত হানার পর এটার ক্ষতি হয়েছে। এ সময় কোনো ক্রু আহত হয়নি।

আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিরা নিরাপত্তা না পেলে ইসরায়েলও নিরাপদ হবে না: ডেভিড ক্যামেরন

তিনি আরও জানান, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।


বিজ্ঞাপন


লেবাননের চ্যানেল আল-মায়াদিন বলেছে যে ভারত মহাসাগরে একটি ইসরায়েলি জাহাজে হামলা হয়েছে। ইরানি গণমাধ্যমগুলোও এ খবর দিয়েছে।

অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে এই হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: ইইউ না চাইলেও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত স্পেন

অপরদিকে ইরানের পরররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন না থাকলে ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না। তিনি কাতার-ভিত্তিক আল-জাজিরা নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।

আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, মার্কিন সরকার তেহরানকে এই মর্মে বার্তা দিয়েছে যে তারা চলমান যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চায় না। তাদেরকে আমরা এই জবাব দিয়েছি যে ইসরায়েলকে সমর্থন করে এবং তেল আবিবকে সমরাস্ত্র সরবরাহ করে তারাই যুদ্ধে পরিধি বিস্তৃত করছে।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। ওই অভিযানে ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দী করে নিয়ে গাজা উপত্যকায় ফিরে যায়। 

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’

এরপর ইসরায়েলিদের গত ৪৯ দিনের বিমান হামলায় গাজা উপত্যকায় ১৪,৮৫৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৬,১৫০ জন শিশু ও ৪,০০০ নারী রয়েছেন।

এরপর গত বুধবার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে চার দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে এবং বিকেলে হামাস ১৩ ইসরায়েলি বন্দীসহ ২৪ বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ৩৯ ফিলিস্তিনি নারী ও কিশোরকে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সাক্ষাৎকারে বলেন, গাজায় যে যুদ্ধবিরতি চলছে তা ওই উপত্যকায় ইসরায়েলি পাশবিকতা সমাপ্তির সূচনা বলে মনে করছে তেহরান। আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে যুদ্ধ শেষে কে গাজা নিয়ন্ত্রণ করবে তা ওয়াশিংটন ঠিক করে দিতে পারবে। কিন্তু আমেরিকা মারাত্মক ভুল করছে। গাজার ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে একমাত্র ফিলিস্তিনিরা, অন্য কেউ নয়।

সূত্র : আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই, প্রেস টিভি

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর