গাজার আল শিফা হাসপাতালের পরিচালককে গ্রেফতার করেছে ইসরায়েল। কয়েক সপ্তাহের বোমা হামলার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
এএফপিকে আল শিফা হাসপাতালের একটি বিভাগ পরিচালনাকারী খালিদ আবু সামরা বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার মুহাম্মদ আবু সালিমাকে গ্রেফতার করেছে।
বিজ্ঞাপন
আনাদোলু এজেন্সিকে আল শিফা হাসপাতালের এ চিকিৎসক জানিয়েছেন যে দখলদার বাহিনী আবু সালিমার সঙ্গে বেশ কয়েকজন চিকিৎসককেও গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুন: গাজার পাশে দাঁড়ানো ‘পবিত্র দায়িত্ব’: পুতিন
ইসরায়েলি গণমাধ্যম এবং সম্প্রচার কর্তৃপক্ষও এ গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে।
এদিকে হামাস জানিয়েছে, ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর, ইসরায়েল এবং হামাস সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছিল যে উভয় পক্ষই হামাসের হেফাজতে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের বিষয়ে একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি রয়েছে।
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহ মঙ্গলবার রয়টার্সকে বলেছিলেন, হামাস ইসরায়েলের সঙ্গে একটি 'যুদ্ধবিরতি চুক্তির' খুব কাছাকাছি রয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও বলেছেন যে শীঘ্রই 'সুসংবাদ' দেওয়া হবে।
এই চুক্তিতে মধ্যস্থতা করার জন্য হামাসও কাতার ও মিসরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় প্রতি দুই ঘণ্টায় মারা যাচ্ছেন ৭ নারী: জাতিসংঘ
এই চুক্তির আওতায় মানবিক সাহায্য, প্রয়োজনীয় ওষুধ ও জ্বালানি ভর্তি শত শত ট্রাক গাজায় প্রবেশ করবে।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চার দিনের যুদ্ধবিরতি চলাকালে ইসরায়েল কোনো হামলা চালাবে না বা কাউকে গ্রেফতার করবে না।
চার দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সময়, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দক্ষিণ গাজায় এবং উত্তর গাজায় প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা বিমান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস হামলা চালানোর পর অন্তত ২৪০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র চারজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
কাতার, যারা চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছে তারা এক বিবৃতিতে জানায়, ‘যুদ্ধবিরতি শুরুর সময় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘোষণা করা হবে। এই যুদ্ধ বিরতি তারপর চার দিন স্থায়ী হবে।’
এদিকে গাজার সবচেয়ে বড় আল-শিফা হাসপাতাল থেকে রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে পৌঁছেছে।
প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) এই তথ্য জানায়।
প্রচণ্ড লড়াইয়ের পর গত সপ্তাহে ইসরায়েল গাজা সিটির এই হাসপাতালটি দখল করে, সে সময় শত শত রোগী ও কর্মচারী ভিতরে আটকা পড়ে।
পরে বেশিরভাগ রোগী সেখান থেকে সরে গেলেও গুরুতর অসুস্থ প্রায় ৩০০ রোগী এবং কয়েকজন চিকিৎসক সেখানেই থেকে যান।
সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি, মিডল ইস্ট আই, আনাদোলু এজেন্সি
এমইউ