রকেট হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) এক সামরিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালের দিকে চালানো এই হামলায় সামরিক ঘাঁটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
বিজ্ঞাপন
সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হিজবুল্লাহর হামলা চালানোর একটি ভিডিও প্রকাশ করে আইডিএফ। এতে দেখা যায়, লেবানন থেকে হিজবুল্লাহর চালানো রকেট হামলায় উত্তর ইসরাইলের বিরানিত সামরিক ঘাঁটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি বাইডেনের
ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, রকেট আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গে ঘাঁটিতে আগুন ধরে যায়। তবে এ হামলায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, হামলার ঘটনার পরপরই ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় কিরিয়াত শমোনা, মানারা ও মার্গালিওট শহরে সাইরেন বাজিয়ে রকেট হামলার বিষয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়।
টাইমস অব ইসরাইল জানায়, উত্তর ইসরায়েলের তিনটি শহরে সাইরেন বাজিয়ে বাসিন্দাদের রকেট হামলার বিষয়ে সতর্ক করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞাপন
এদিকে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম বিগ্রেড জানিয়েছে যে, গাজায় স্থল অভিযানের সময় গত ৭২ ঘণ্টায় ইসরায়েলি ৬০টি সামরিক যান ধ্বংস করেছে তারা।
একটি রেকর্ড করা বার্তায় আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা বলেছেন যে, টার্গেট করা ইসরায়েলি সামরিক যানগুলোকে ধ্বংসের জন্য গত তিন দিনে দশটি সেনাবাহী যান হামলায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে, গাজা উপত্যকার বেশ কয়েকটি এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা পুনর্নির্মাণ করবে তুরস্ক
ইসরায়েলি মিডিয়া অনুসারে, ২৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলি স্থল অভিযান শুরুর পর থেকে অন্তত ৬৬ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হাসপাতাল, বাসস্থান, মসজিদ এবং গির্জাসহ বিভিন্ন স্থানে অবিরাম বিমান ও স্থল আক্রমণ শুরু করেছে।
ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় গাজায় সাড়ে ১৩ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৫ হাজারের বেশি শিশু এবং সাড়ে তিন হাজারের বেশি নারী।
একে