বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত চেয়েছে বাংলাদেশসহ পাঁচ দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৪ এএম

শেয়ার করুন:

ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের তদন্ত চেয়েছে বাংলাদেশসহ পাঁচ দেশ
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ১১ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর যুদ্ধাপরাধ তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ। বাংলাদেশ ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা, বলিভিয়া, কমোরোস এবং জিবুতি যৌথভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আবেদনটি করেছে। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার মধ্যে এ আবেদন জানাল দেশগুলো।

শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (আগে যার নাম ছিল টুইটার) পোস্ট এক বিবৃতিতে আইসিসির প্রসিকিউটর করিম আহমেদ খান জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, বলিভিয়া, কমোরোস ও জিবুতি যৌথভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে ওই আবেদন করেছে।

আরও পড়ুন

রক্তপাত বন্ধ করতে না পারলে জাতিসংঘ কীসের জন্য

দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, গাজার বর্তমান পরিস্থিতির দিকে আইসিসি যেন জরুরিভিত্তিতে মনোযোগ দেয় ও তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।

২০১৪ সালের ১৩ জুন ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ নিয়ে আগে থেকেই একটি তদন্ত চালিয়ে আসছে আইসিসি। ফলে শুক্রবার বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ যে আবেদন জমা দিয়েছে, বাস্তবে সেটির প্রভাব হবে সীমিত।


বিজ্ঞাপন


আইসিসির প্রসিকিউটর বলেন, গত ৭ অক্টোবরের হামলার পর থেকে সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধির ঘটনাও তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধি অনুসারে, একটি রাষ্ট্রপক্ষ প্রসিকিউটরকে এমন একটি পরিস্থিতি উল্লেখ করতে পারে, যেখানে আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে এক বা একাধিক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। এক বা একাধিক নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে এ ধরনের অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা উচিত কি না, তা নির্ধারণের জন্য প্রসিকিউটরকে পরিস্থিতি তদন্ত করার অনুরোধ করার বিধি রয়েছে।

আরও পড়ুন

গাজায় প্রতিদিন দুই ট্রাক জ্বালানি প্রবেশের অনুমতি দেবে ইসরায়েল

গাজায় হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স ও শরণার্থী শিবিরে নির্বিচার হামলা চালিয়ে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার মাধ্যমে ইসরায়েল যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করে আসছে। এছাড়া সংস্থাগুলোর অভিযোগ, অবরোধ চাপিয়ে দিয়ে খাবার, পানি ও চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করাও মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে পড়ে।

ইসরায়েল আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সদস্য নয়। এ আদালতের বিচারিক এখতিয়ারকেও স্বীকৃতি দেয় না দেশটি। তবে ফিলিস্তিন অঞ্চল ২০১৫ সাল থেকে আইসিসির সদস্য। সে কারণেই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিষয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত দিয়েছিল আইসিসি।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ১৪ শ’র বেশি মানুষ নিহত এবং ২৪০ জন জিম্মি হওয়ার পর থেকেই ফিলিস্তিনি এই সংগঠনটিকে নিশ্চিহ্ন করার প্রত্যয় নিয়ে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।

যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় সাড়ে ১১ হাজারের মতো ফিলিস্তিনি নাগরিককে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। হামলার পর থেকে জাতিসংঘের মহাসচিব একাধিকার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও তাতে পাত্তা না নিয়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। বিমান থেকে ফেলা বোমা ও স্থল অভিযানে একের পর এক প্রাণ হারাচ্ছেন গাজার মানুষ।

এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর