শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

মধ্যপ্রাচ্যের অন্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে গাজার যুদ্ধ!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:৩৬ পিএম

শেয়ার করুন:

মধ্যপ্রাচ্যের অন্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে গাজার যুদ্ধ!
গাজায় যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ছবি: রয়টার্স

মধ্যপ্রাচ্যের অন্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে গাজায় চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ইঙ্গিত দিয়েছেন। 

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানিকে ফোন করে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, গাজার বেসামরিক বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের তীব্রতা সম্প্রসারণের কারণে এ সংঘাতের পরিধি সম্প্রসারণ অনিবার্য হয়ে উঠেছে।


বিজ্ঞাপন


ইরান আঞ্চলিক উত্তেজনার হুমকির বিষয়ে বারবার সতর্ক করেছে এবং ইসরায়েলকে বলেছে যে তাদের সেনাদের গাজায় হামলা থেকে সরে আসতে হবে।

এ বিষয়ে প্রেস টিভি জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার বেসামরিক ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের অপরাধযজ্ঞের তীব্রতা বৃদ্ধির পরিণাম ভালো হবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। তিনি বৃহস্পতিবার কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সঙ্গে এক ফোনালাপে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় গাজায় জাতিসংঘের ৯৯ কর্মী নিহত 

ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক বলেন, গাজার বেসামরিক অধিবাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধির কারণে এই যুদ্ধের পরিধি সম্প্রসারণ অনিবার্য হয়ে পড়েছে। 


বিজ্ঞাপন


ফোনালাপে ইরান ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গাজা উপত্যকার বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সেনাদের পাশবিক হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের মানবিক পরিস্থিতির ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করার পাশাপাশি সেখানে মানবিক ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ সংগঠন হামাস ইসরায়েলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নজিরবিহীন সামরিক অভিযান চালায়। সে দিন থেকেই ইসরায়েলের বিমান বাহিনী গাজায় ভয়াবহ রক্তাক্ত অভিযান শুরু করে - যা এখন পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলছে।

ইসরায়েলে সামরিক অভিযানের বিষয়ে আল-জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাসের মুখপাত্র খালেদ কাদোমি বলেন, ‘দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো নৃশংসতার জবাবে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা চাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর এবং আমাদের পবিত্র স্থাপনা আল-আকসায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধে উদ্যোগ নেবে। এগুলোই হামাসের এই অভিযানের কারণ।’

আরও পড়ুন: গাজায় ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে আরও ইসরায়েলি সেনা নিহত

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১০,৮১২ জনে দাঁড়িয়েছে যাদের মধ্যে ৪,৪১২ শিশু ও ২,৯১৮ নারী রয়েছেন। গাজা উপত্যকার ২৩ লাখ মানুষের মধ্যে অন্তত ১৫ লাখ বেসামরিক লোক হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনারা গাজার পাশাপাশি দক্ষিণ লেবাননেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রক্তাক্ত যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। 

অন্যদিকে ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী এ পর্যন্ত ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় এইলাত শহরে ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত একটি আত্মঘাতী ড্রোন আঘাত হেনেছে। এর আগের দিন বুধবার ইয়েমেনের গুলিতে গাজা যুদ্ধের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আমেরিকার একটি অত্যাধুনিক ড্রোন লোহিত সাগর উপকূলে ভূপাতিত হয়েছে। 

সূত্র : আল-জাজিরা, প্রেস টিভি

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর