মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের বিস্তার এড়াতে আঞ্চলিক সম্মেলনের আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক ও ইরান। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেছেন, "আমরা চাই না গাজার মানবিক ট্র্যাজেডি এমন একটি যুদ্ধে পরিণত হোক যা এই অঞ্চলকে প্রভাবিত করে।"
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাজার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে এই অমানবিক অবরোধ ও হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় তিনি প্রশ্ন তোলেন কেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রাশিয়ার আগ্রাসনের পরে ইউক্রেনের চারপাশে সমবেত হয়েছিল, কিন্তু তারা কেন গাজার মানুষের ভাগ্য নিয়ে অনেকাংশে নীরব।
আরও পড়ুন: সীমান্ত অতিক্রম করে ফিলিস্তিনিদের হামলা, ৩ ইসরায়েলি সেনা নিহত
ফিদান বলেন, “ইউক্রেনের জন্য এক এবং ফিলিস্তিনের জন্য অন্য এক ধরনের মানদণ্ড হতে পারে না। আমরা যদি একটি ন্যায্য বিশ্ব চাই তবে আমাদের অবশ্যই সর্বদা নীতিগত এবং সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজ করতে হবে।”
তিনি বলেন, একটি স্থায়ী শান্তির জন্য একটি পরিকল্পনা অবশ্যই দুই-রাষ্ট্র সমাধানের আকারে বাস্তবায়ন করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
ফিদান জানান, পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে ফিলিস্তিনের জন্য একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে রয়েছে তুরস্ক।
উল্লেখ্য, এবার গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার জন্য ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান তুরস্ক সফরে গেছেন। এরইমধ্যে তিনি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: কেন হাঙ্গেরি সীমান্তে সেনা মোতায়েন করলো স্লোভাকিয়া?
তুরস্কের রাজধানী আংকারায় আজ (বুধবার) দুই মন্ত্রী জরুরিভিত্তিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির উপায় নিয়ে আলোচনা করতে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন। এ সময় তারা গাজার সর্বশেষ পরিস্থিতি এবং ইরান ও তুরস্কের জাতীয় স্বার্থ নিয়ে আলোচনা করেন।
ইসরায়েল গত ৭ আগস্ট গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন শুরুর পর এ নিয়ে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বসলেন। দুই সপ্তাহ আগে আমির আবদুল্লাহিয়ান ও হাকান ফিদান ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসির বিশেষ জরুরি সম্মেলনের অবকাশে সৌদি আরবের জেদ্দা নগরীতে বৈঠক করেছিলেন।
সূত্র : আল-জাজিরা, প্রেস টিভি
এমইউ