শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ঢাকা

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৭,০০০ ছাড়িয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ০৫:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ৭,০০০ ছাড়িয়েছে
একজন মহিলা তার ৩ বছরের ছেলেকে ধরে রেখেছেন যে গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছিল। ছবি: আনাদোলু এজেন্সি

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা সাত হাজার ২৮ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে দুই হাজার ৯১৩ জন শিশু, এক হাজার ৭০৯ জন নারী ও ৩৯৭ জন বয়স্ক নাগরিক আছেন। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

৭ অক্টোবর থেকে অধিকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে শতাধিক ফিলিস্তিনিও নিহত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সাবেক প্রধান প্রসিক্টর লুইস মোরেনো-ওকাম্পো বলেন, গাজার ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। 

তিনি বলেন, “একটি গণহত্যা সংঘটিত করার একটি রূপ হলো তাদের ধ্বংস করার জন্য জনগণের ওপর শর্ত চাপানো। আর (ইসরায়েলি) অবরোধ আসলে তাই।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সাবেক প্রধান এ প্রসিক্টর বলেন, ‘(ইসরায়েলি) অবরোধ পানি ও খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দিচ্ছে। গাজার ফিলিস্তিনি হাসপাতালগুলো তাদের স্বাভাবিক কাজ করতে পারছে না। যেসব অসুস্থ ফিলিস্তিনিরা কোথাও যেতে পারে না তাদের জন্যও বিদ্যুৎ নেই।

লুইস মোরেনো-ওকাম্পো বলেন, ‘ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার আছে। কিন্তু, তারা ২০ লাখ মানুষকে আটকাতে পারে না বা অবরোধ দিতে পারে না।


বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, এসব ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের কারণে গাজা একটি বন্দী শিবিরে পরিণত হতে পারে।

এদিকে ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে গাজায় মানবিক সহায়তা পরিচালনাকারী জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই সিদ্ধান্ত আসতে পারে। জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।

ইউএনআরডাব্লিউএ এর মুখপাত্র জুলিয়েট টুমা বলেন, তারা ধারনা করছেন যে তাদের কর্মকাণ্ড কমিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, “আগামী কয়েক ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা আশা করছি যে ইউএনআরডাব্লিউএ-এর জন্য যে জ্বালানি পাঠানো হয়েছে সেগুলো চলে আসবে।” 

জুলিয়েট টুমা বলেন, জ্বালানির সরবরাহ ছাড়া, ‘এটা ছাড়া হয়তো আমাদের এমন কঠিন একটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে যেটি সাধারণত কোনো ত্রাণ সংস্থা নিতে চাইবে না। আর সেটা হচ্ছে, গাজা উপত্যকায় যেসব মানুষদের আমাদের সহায়তা সবচেয়ে বেশি দরকার তাদের জন্য মানবিক সহায়তা বন্ধ করে দিতে হবে আমাদের। গাজায় যদি জ্বালানি না আসে তাহলে “বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

সূত্র : আল-জাজিরা, বিবিসি

এমইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর