মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু তার দেশ থেকে ভারতীয় সেনাকে সম্পূর্ণরূপে ফিরিয়ে দিতে চান। এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় এসেছেন তিনি। মুইজ্জু জানিয়েছেন, তিনি তার প্রতিশ্রুতি পালনে শতভাগ চেষ্টা করবেন।
মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু বলেন, 'আমরা মালদ্বীপের মাটিতে কোনো বিদেশি সামরিক বুট চাই না। আমি মালদ্বীপের জনগণকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এবং প্রথম দিন থেকেই আমার প্রতিশ্রুতি পালন করব।' খবর বিবিসির
বিজ্ঞাপন
গত মাসে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডক্টর মোহাম্মদ মুইজ্জু। তিনি আগে থেকেই ভারতীয় সেনাদের মালদ্বীপ থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে দৃড় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছেন। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরও এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কথা বলছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনারা মালদ্বীপে থাকতে পারবে না!
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন মুইজ্জু। তিনি জানান যে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কয়েকদিন পর তিনি ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তখন তাকে তিনি খুব স্পষ্ট করে বলেন যে, প্রত্যেক ভারতীয় সামরিক কর্মীকে মালদ্বীপ ছাড়তে হবে।
বিবিসি জানিয়েছে, মালদ্বীপ দীর্ঘদিন ধরে ভারতের প্রভাবের অধীনে রয়েছে। তবে মুইজ্জুর বর্তমান অবস্থান মালে এবং দিল্লির মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বিবিসি বলেছে যে, মোহাম্মদ মুইজ্জু যখন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়লাভ করেন, তখন এটি ভারতের জন্য একটি ধাক্কা হিসেবে দেখা হয়েছিল। কারণ ২০১৮ সালে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ দায়িত্ব নেওয়ার পর মালদ্বীপ ও ভারত অনেকটাই কাছাকাছি এসেছিল। তিনি দিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। দেশটির সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তি করেন এবং মালদ্বীপের ভূখণ্ডে ছোট্ট সামরিক বাহিনী পরিচালনায় ভারতকে অনুমতি দেন।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মোহাম্মদ মুইজ্জু
অন্যদিকে মুইজ্জুকে সমর্থনকারী জোটভুক্ত দল ও নেতারা সোলিহের ভারত নীতিকে মালদ্বীপের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন। মুইজ্জুর জোট চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পক্ষে। এরই মধ্যে মালদ্বীপের অবকাঠামো ও উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ঋণ এবং অনুদানের আকারে মালদ্বীপে কয়েক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে চীন।
ভারত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। তবে দ্বীপরাষ্ট্র কৌশলগত দিক থেকে এমন জায়গায় অবস্থিত। প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় সেখানে প্রভাব বজায় রাখতে চায় ভারত ও চীন। মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা বাহিনী ২০২১ সালের দিকে জানায়, ভারতীয় বিমান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তাদের দেশে রয়েছে প্রায় ৭৫ জন ভারতীয় সেনা।
একে