শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

রাফাহ ক্রসিংয়ে গুতেরেস, নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:১৫ এএম

শেয়ার করুন:

রাফাহ ক্রসিংয়ে গুতেরেস, নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান
রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শনে গুতেরেস। ছবি: এক্স

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার সঙ্গের মিশরের একমাত্র যোগাযোগ পথ রাফাহ ক্রসিং পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। এ সময় তিনি সেখানে থাকা শত শত ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় দ্রুত পাঠানোর অনুরোধ করেছেন। গাজায় জরুরি ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর জন্য নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

শুক্রবার গুতেরেস রাফাহ ক্রসিং থেকে মানবিক সহায়তা বিতরণ পরিস্থিতি নিরীক্ষণ করেন। এ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।


বিজ্ঞাপন


গুতেরেস বলেন, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য যেসব শর্ত দেও=য়া হয়েছে জরুরি ত্রাণ পৌঁছানোর স্বার্থে ওই শর্তগুলো প্রত্যাহার করা উচিত।

আরও পড়ুন: গাজার হাসপাতালে হামলা করল কারা, তথ্য-প্রমাণ কী বলছে?

গাজায় ত্রাণ সরবরাহের সম্ভাবনা মাথায় রেখে শুক্রবার রাফাহ ক্রসিং পৌঁছেছেন গুতেরেস। এখানে শতাধিক ট্রাক ত্রাণ নিয়ে গাজায় প্রবেশের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। গাজায় প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত একমাত্র পথ এই রাফাহ ক্রসিং।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, গাজায় ত্রাণ সরবরাহে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আমরা সব পক্ষের সঙ্গে এই বিধিনিষেধের বিষয়ে স্পষ্ট হতে কাজ করছি। যাতে এসব ট্রাক যেখানে প্রয়োজন সেখানে পৌঁছাতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব এসব ট্রাক আমাদের নিয়ে যেতে হবে।


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, মানবিক ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো গাজায় প্রবেশের জন্য প্রস্তুত। এই ট্রাকগুলো জীবনরক্ষাকারী। এগুলো অনেক মানুষের জীবন ও মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার রাতে বলেছিলেন, শুক্রবার নাগাদ ত্রাণ নিয়ে গাজায় প্রায় ২০টি ট্রাক প্রবেশ করতে পারে। এ বিষয়ে মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার সমঝোতা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল পর্যন্ত গাজায় ত্রাণ পৌঁছানোর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

মিশর জানিয়েছে, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে রাফাহ ক্রসিংয়ের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হচ্ছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, আগামীকাল (শনিবার) বা এরপর ত্রাণের প্রথম চালান গাজায় প্রবেশ করতে পারে।

আরও পড়ুন: ইসরায়েলকে কী পরিমাণ সামরিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র? 

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্দি জাপানে সাংবাদিকদের বলেছেন, গাজা উপত্যকায় সামরিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি সেখানকার মানুষের জন্য বিপর্যয়কর হবে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এরপর ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৪,৩০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন হাজার মানুষ। অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা করছে ইসরায়েল। হাসপাতাল, স্কুল এবং আশ্রয়কেন্দ্রও হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছে না।

অপরদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১৪০০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া হামাসের হাতে আটক রয়েছে দুই শতাধিক মানুষকে ইসরায়েল থেকে জিম্মি করেছে। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছে।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর