মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছে ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২৩, ০১:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছে ইসরায়েল
হামাসের সঙ্গে সংঘাত শুরুর পর সেনাদের সঙ্গে দেখা করেন নেতানিয়াহু। ছবি: এএফপি

ইসরায়েল জরুরি সামরিক সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জরুরি ভিত্তিতে দশ বিলিয়ন ডলার চেয়েছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।

এই বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের সাথে সমন্বয় করে কংগ্রেসের একটি বিলে এই সহায়তা প্যাকেজটি একত্রিত করা হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেন, তাইওয়ান এবং মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তের জন্য যে তহবিল চাইছে তাও এই বিলে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

আরও পড়ুন: রাফাহ ক্রসিংকে কেন গাজার ‘লাইফলাইন’ বলা হচ্ছে?

এর আগে রোববার মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা চাক শুমার ইসরায়েল সফরের সময় বলেছিলেন যে, মার্কিন আইনপ্রণেতারা তেল আবিবকে ১৫৫-মিলিমিটার গোলাবারুদ, আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার গোলাবারুদ, অত্যাধুনিক বোমা এবং স্ট্যান্ডার্ড বোমা তৈরির জেডিএএম কিট দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা জানিয়েছে যে, অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের হামলায় চার লাখের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ আহত। 


বিজ্ঞাপন


আনাদুলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, গাজা বিদ্যুত ছাড়াই একটি ভয়ানক মানবিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। সেখানের পানি, খাদ্য, জ্বালানী এবং চিকিৎসা সরবরাহ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

israel_asks_us_10_billion_new_york_times
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট

ইসরায়েলের নির্বিচারে বিমান হামলায় বিপর্যস্ত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। এছাড়াও স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি সেনা। এদিকে ইসরায়েলের সর্বাত্মক অবরোধের কারণে তীব্র মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গাজাজুড়ে। এমন অবস্থায় মিশরের সঙ্গে গাজার একমাত্র সীমান্ত ক্রসিং রাফাহকে বলা হচ্ছে গাজার জন্য লাইফলাইন।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন- উভয়েই সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, তারা রাফাহ সীমান্ত পুনরায় খুলে দিতে ইসরায়েল, মিশর এবং অন্যান্য নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কাজ করছেন।

আরও পড়ুন: জিম্মিদের মুক্তির জন্য যে শর্ত দিল হামাস

গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের একজন মুখপাত্রের পক্ষ থেকে গাজায় আটকে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের রাফাহ অভিমুখে যেতে বলা হয়েছে। কারণ সীমান্তটি খুব কম সময়ের জন্য খোলা হতে পারে, যেটি আবার অল্প সময়ের মধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হবে।

গত ৭ অক্টোবর হামাস ও ইসারেলের সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত গাজায় ২ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর