রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

‘যারা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াবে না, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না’

ঢাকা মেইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৪৫ পিএম

শেয়ার করুন:

‘যারা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াবে না, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না’

ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের প্রতি মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় বরাবরের মতো সংহতি প্রকাশ করছে। সর্বোচ্চ ত্যাগ ও সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমিকে জায়নবাদের থাবা থেকে মুক্ত করতে যারা সশস্ত্র লড়াই ও সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, আল আজহার তাদের প্রতি আন্তরিক মোবারকবাদ জানায়। মুক্তি সংগ্রামে নিয়োজিত ফিলিস্তিনিদের প্রতি আল আজহার জানাচ্ছে, যেকোনো মূল্যে নিজেদের আপন ভূমিতে টিকে থাকতে হবে। এই ভূমি একবার হাতছাড়া হয়ে গেলে আর কোনোদিন ফিরে পাওয়া যাবে না এবং ফিলিস্তিন ইস্যুরও চিরতরে অবসান ঘটবে।

জামেয়া আল আজহারের পক্ষে শাইখুল আজহার ডক্টর আহমদ আত তায়্যিব বলেন, জায়নবাদী দখলদারদের সমর্থনে পশ্চিমাদের সামরিক ও মানবিক সহায়তার বিপরীতে ফিলিস্তিনবাসীর জন্য আল আজহার আরব ও মুসলিম দেশগুলোর সম্মিলিত পদক্ষেপ কামনা করে। একই সাথে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদারদের দ্বারা সংঘটিত নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের ওপর যাবতীয় নৃশংসতা ও যুদ্ধাপরাধের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান করে।


বিজ্ঞাপন


আরব ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আল আজহার খোলা আহ্বান জানাচ্ছে যে, ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় ভূমিকার দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সজাগ থাকা এবং অতিদ্রুত মানবিক সহায়তা প্রেরণ করা উচিত। আল আজহার সুস্পষ্ট ভাষায় ব্যক্ত করছে যে, মুসলিম দেশগুলোর পক্ষ থেকে সরকারিভাবে নিপীড়িত ফিলিস্তিনবাসীর প্রতি সমর্থন জানানো ও সাহায্য করা আবশ্যকীয় ধর্মীয় দায়িত্ব এবং মানবতার প্রতি সহমর্মিতার বহিঃপ্রকাশ। আজ যারা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াবে না, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না।

আল আজহার তীব্র নিন্দা করে জানাচ্ছে যে, দখলদার জায়োনিস্ট বাহিনী কর্তৃক বেসামরিক নাগরিক, নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের হত্যা, হাসপাতাল, বাজার, অ্যাম্বুলেন্স এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় নেওয়া মসজিদ ও মাদরাসায় বিমান হামলা, আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ বোমা ও ভারী অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার, পানি এবং বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন এবং খাদ্য, চিকিৎসাসহ জরুরি মানবিক সহায়তার পথ বন্ধ করে নিষ্ঠুরভাবে গাজাকে অবরুদ্ধ করে রাখা- সবকিছুই পরিষ্কার গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধ। অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের দ্বারা সংঘটিত এসব দখলদারিত্ব, সন্ত্রাস, যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন ইহুদিবাদ ও এর সমর্থকদের কলঙ্ক হিসেবে ইতিহাসে লেখা থাকবে। ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রতি  অমানবিক পশ্চিমা সমর্থন ও নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব এবং ফিলিস্তিনবাসীর বিরুদ্ধে পশ্চিমা মিডিয়ার লাগাতার মিথ্যা প্রচার, প্রোপাগান্ডা ও ইসরায়েলি পক্ষপাতদুষ্টতা সবকিছুই পশ্চিমাদের চটকদার মানবাধিকার শ্লোগান, স্বাধীনতা ও স্বাধিকারের বাণীর মুখোশ খুলে দিয়েছে। এসব দ্বারা বাস্তবতার বিকৃতি ঘটানো, দ্বিচারিতা প্রদর্শন, বৈশ্বিক মনোবৃত্তি ও মতামতকে মিথ্যার পক্ষে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা এবং ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষদের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসের প্রতি খোলামেলা সমর্থন ব্যক্ত করা হচ্ছে এবং একই সাথে ফিলিস্তিনে নিষ্ঠুর ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পক্ষে উস্কানি দেওয়ার শামিল।

বিশ্ববাসী ভালো করে জানে যে, আজ হোক কাল হোক, সমস্ত অন্যায়মূলক দখলদারিত্বের একদিন অবসান ঘটবেই, ইনশাআল্লাহ!

(আল আজহারের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে অনূদিত)


বিজ্ঞাপন


জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর