গাজায় ইসরায়েলি অবরোধের নিন্দা করেছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র রাবিনা শ্যামদাসানি পৃথক বিবৃতিতে এ ধরনের পদক্ষেপকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন বা ইউএনএইচসিআর-এর নিজস্ব যেসব পর্যবেক্ষক রয়েছেন তাদের মাধ্যমে তারা জানতে পেরেছেন যে ইসরায়েলি হামলায় আহতদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
এই বৈশ্বিক সংস্থার মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভল্কার তুর্ক গতকাল (মঙ্গলবার) এক বিবৃতিতে বলেন, গাজা উপত্যকার ওপর সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করা যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনি ওই উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতি এমনিতেই খারাপ ছিল। ফলে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপে সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে পড়বে। তুর্ক তার বিবৃতিতে বলেন, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতি মুহূর্তে হতাহত মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আহতদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
ভল্কার তুর্ক বলেন, গাজা উপত্যকার সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার ফলে সেখানকার মানুষের পক্ষে খাদ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করা সম্ভব হবে না। এ ধরনের পরিস্থিত সৃষ্টি করা আন্তর্জাতিক আইনে নিষিদ্ধ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গত শনিবার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘আল-আকসা স্ট্রম’ নামক অভিযান শুরু করার পর গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ, পানি, খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহের সবগুলো রুট বন্ধ করে দিয়েছে তেল আবিব।
এরপর জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার গাজা উপত্যকার ওপর কঠোর অবরোধের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজার বিদ্যুৎ, খাদ্য, পানি ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় ইউনিসেফ ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করছে।
বিজ্ঞাপন
সূত্র : আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট মনিটর, রয়টার্স
এমইউ