তুরস্ক এই সপ্তাহে ইরাক থেকে একটি অপরিশোধিত তেলের পাইপলাইনে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করবে। এটি প্রায় ছয় মাস ধরে বন্ধ ছিল। সোমবার এই তথ্য জানিয়েছেন তুরস্কের জ্বালানি মন্ত্রী আলপারসলান বায়রাক্টার।
আবুধাবিতে এডিআইপিইসি সম্মেলনে আলপারসলান বায়রাক্টার বলেন, 'এই সপ্তাহের মধ্যে, আমরা ইরাক-তুরস্ক পাইপলাইন পুনরায় চালু করার পর কাজ শুরু করব। এটি বিশ্বব্যাপী তেলের বাজারে অর্ধ মিলিয়ন ব্যারেল সরবরাহ করতে সক্ষম হবে।'
বিজ্ঞাপন
তিনি যোগ করেন, তুরস্ক তেল ও গ্যাসের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য ট্রানজিট রুট। খবর রয়টার্সের
আরও পড়ুন: কত বড় দেশ তুরস্ক, এর অর্থনীতি ও সামরিক শক্তি কেমন?
তুরস্ক প্রায় ছয় মাস আগে ইরাকের উত্তরের তেল রফতানি রুটে প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। আঙ্কারা পরে পাইপলাইনে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করে যা বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত সরবরাহের প্রায় ০.৫% অবদান রাখে।
বাগদাদ এবং আঙ্কারা পাইপলাইনের একটি রক্ষণাবেক্ষণ মূল্যায়ন না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে সম্মত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে আঙ্কারায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পর ইরাকে কুর্দি বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে তুরস্ক।
তুর্কি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সামনে আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এই হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় ইরাকের গারা, হাকুরক, মেতিনা এবং কান্দিলের পিকেকে সংশ্লিষ্ট ২০টি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করা হয়েছে। তুর্কি প্রতিরক্ষা দপ্তর বলছে, পিকেকে-এর ব্যবহৃত গুহা, ডিপো এবং বাঙ্কারকে লক্ষ্য করে এই বিমান হামলা চালানো হয়।
আরও পড়ুন: তুর্কি বায়রাক্টার ড্রোন কতটা শক্তিশালী, দাম কত?
পিকেকে সমর্থিত কুর্দি সংবাদমাধ্যম গুলো বলেছে, ইরান সীমান্তের কাছে মাউন্ট কান্দিলকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। এলাকাটিকে পিকেকে-এর শক্ত ঘাঁটি বলে ধারণা করা হয়।
তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে এই অভিযানের লক্ষ্য ছিল, পিকেকে সন্ত্রাসী এবং তাদের ঘাঁটি গুলোকে ধ্বংস করা, আমাদের জনগণ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে উত্তর ইরাক থেকে হওয়া সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ করা এবং আমাদের সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
একে