ভারতে ঘুরতে এসে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন এক ফরাসি পর্যটক। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই ফরাসি তরুণী একটি প্ল্যাটফর্ম ভেঙে নিচে পড়ে মারা যান।
সুদূর ফ্রান্স থেকে ভারতে এসে তিনি দেশটির ঐতিহাসিক স্থাপনা ফতেপুর সিক্রিতে যান। ওই তরুণী সেখানকার একটি উঁচু প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে দুর্গের ছবি তুলছিলেন। আচমকাই সেই প্ল্যাটফর্ম ভেঙে নিচে পড়ে যান তিনি।
বিজ্ঞাপন
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। তারা জানায়, ওই ফরাসি পর্যটক একটি বড় দলের সঙ্গে ভারতে ঘুরতে এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারত ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক: কানাডা ইস্যু কী গুরুত্ব পেয়েছে?
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রাজ কুমার প্যাটেলের জানান, ফতেপুর সিক্রিতে ঘুরতে-ঘুরতে সেখানকার ৯ ফুট উঁচু এক প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে দুর্গের এক অংশের ছবি তুলছিলেন ওই ফরাসি তরুণী। ছবি তোলার সময় কাঠের রেলিং ভেঙে ওই উঁচু থেকে নীচে পড়ে পাথরের মেঝেতে মাথায় আঘাত পান তিনি। তাকে দ্রুত এসএন মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে আগ্রার এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে ডাক্তারেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, পড়ে যাওয়ার পরেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন ওই তরুণী। সকলে মনে করে, তার মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছে। যদিও কোথাও কোনো রক্তপাত ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে তাকে নিয়ে হাসপাতাল অভিমুখে রওনা হন তার সঙ্গীরা। তবে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করতে প্রাথমিকভাবে একটু দেরি হয়। পরে ফতেপুর সিক্রির কর্মীরা একটা বিকল্প ব্যবস্থা করে দেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: মণিপুরে বিজেপি দফতরে হামলা, কারফিউ জারি
আরও জানা যায়, যে-রেলিংটা ভেঙে পড়েছে, সেটা করোনা পরে তৈরি করা হয়েছিল। জানা যায়, ফতেপুর সিক্রিতে কোনো অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাই নেই। সবচেয়ে কাছাকাছি যে-জায়গা থেকে অ্যাম্বুল্যান্স আনা সম্ভব সেটাই ফতেপুর সিক্রির দুর্গ থেকে অন্তত ২০ কিলোমিটার দূর।
সূত্র : দ্যা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
এমইউ