উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশাল সামরিক প্যারেড করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই প্যারেডে অংশ নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাও। প্যারেডে নিজেদের সামরিক শক্তি দেখিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
সিওল জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া যদি কোনোভাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে। সাধারণত এই ধরনের সামরিক প্যারেড করে না দক্ষিণ কোরিয়া। তবে গত মঙ্গলবার দেশের সেনাবাহিনীর ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এই প্যারেড হয়েছে। খবর ডয়চে ভেলের
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: সম্পর্ক আরও গভীর করবে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া-জাপান
খবরে বলা হয়েছে, চার হাজার সেনা সিওলে মার্চ করেছেন। প্যারেডে কামান, ড্রোন, ব্যালেস্টিক মিসাইলের মতো অস্ত্রসম্ভার দেখানো হয়েছে। উত্তর কোরিয়া যখন তাদের পরমাণু অস্ত্রসম্ভার বাড়াচ্ছে ও রাশিয়ার সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠ হচ্ছে, সেসময় এই প্যারেড বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে।
২০১৩ সালের পর আবার দক্ষিণ কোরিয়ায় এরকম সামরিক প্যারেড হলো। এই প্যারেডে তিনশ জন মার্কিন সেনাও অংশ নিয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক কতটা গভীর ও দায়বদ্ধ তা দেখানোর জন্যই প্যারেডে মার্কিন সেনা অংশ নেয় বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়েওল।
তিনি বলেছেন, উত্তর করিয়া যদি পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা করে, তাহলে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র মিলে প্রতিক্রিয়া জানাবে, যার ফলে উত্তর কোরিয়ার শাসকদের পতন হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: কুকুরের মাংস বিক্রি বন্ধ করতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া
পিয়ংইয়ং এই বছর একের পর এক মিসাইল পরীক্ষা করেছে ও করছে। তাদের দাবি, পশ্চিমা দেশের কাছ থেকে বিপদের আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে তারা এই পরীক্ষা করছে।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রাশিয়া গিয়ে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তিনি রাশিয়ার কাছ থেকে উন্নত সামরিক প্রযুক্তি চেয়েছেন।
একে

