সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ফাইভ আইজ কী, কীভাবে কাজ করে এই সংস্থা?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:১৬ পিএম

শেয়ার করুন:

ফাইভ আইজ কী, কীভাবে কাজ করে এই সংস্থা?
ছবি সংগৃহীত

কানাডায় খালিস্তানিপন্থী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জারকে হত্যায় ভারতকে দায়ী করেছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এই ঘটনায় ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কে ব্যপক অবনতি হয়েছে। নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে গোয়েন্দা জোট ফাইভ আইজ। এই সংস্থা নিজ্জার হত্যায় ভারতের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রুডো।

কী এই ফাইভ আইজ, কীভাবে কাজ করে সংস্থাটি? 


বিজ্ঞাপন


অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে গঠিত হয় গোয়েন্দা জোট । সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলা বা গুপ্তহত্যা– এই ধরনের জটিল বিষয়ের রহস্য় সমাধানের জন্য় গত শতাব্দীতে চুক্তিবদ্ধ হয় পাঁচ দেশ। একেই বলা হয় ‘ফাইভ আইজ’।

চুক্তি অনুযায়ী সারা বছর গোয়েন্দা তথ্য় আদান প্রদান করে এই পাঁচ দেশ। কখনও কখনও জটিল বিষয়ে একসঙ্গে তদন্তও করে দেশগুলোর গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন: কানাডায় কতজন ভারতীয় বাস করেন?

‘ফাইভ আইজ’ তৈরির ইতিহাস যথেষ্ট লম্বা। ১৯৪৬ সালে প্রথমবার মার্কিন প্রতিরক্ষা ও ব্রিটেনের গোয়েন্দা দফতরের মধ্য়ে একটি চুক্তি হয়। ব্রিটিশরা একে বলত বিআরইউএসএ। আর মার্কিনিদের কাছে এটা ছিল ইউকেইউএসএ চুক্তি।


বিজ্ঞাপন


১৯৪৯-এ এই চুক্তিতে যোগ দেয় কানাডা। অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডকে কাছে টানতে অবশ্য লেগে গিয়েছিল আরও সাত বছর। ১৯৫৬-তে এই দু’টি দেশও চুক্তিপত্রে সই করলে আনুষ্ঠানিকভাবে তৈরি হয় ‘ফাইভ আইজ’।

পাঁচ দেশের গোয়েন্দাদের কাছাকাছি আসার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ‘দ্য কনভারসেশন’ মার্কিন গবেষক জোশুয়া হোলজার। তার দাবি, “২১ শতকে ফাইভ আইজ যথেষ্ট সক্রিয়।” একে মার্কিন সামরিক জোট ন্যাটোর সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।

জোশুয়া হোলজার বলেন, “ন্যাটো ক্ষেত্রে ইউরোপের একাধিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আর সেখানে ফাইভ আইজে সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা মাত্র ৫। তবে এর গুরুত্বকে খাটো করে দেখা উচিত হবে না। আমি তো একে সবসময় ন্যাটোর ছোট ভাই বলে থাকি।”

আরও পড়ুন: কানাডা-ভারত দূরত্ব কি শিগগিরই শেষ হবে?

চলতি বছরের ১৮ জুন কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় খুন হন খালিস্তানি নেতা নিজ্জার। অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। গত সোমবার প্রথমবার বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্ট মুখ খোলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। নিজ্জার খুনের পিছনে ভারতীয় গুপ্তচরদের হাত থাকার তথ্য প্রমাণ কানাডার হাতে আছে বলে দাবি করেন তিনি।

ট্রুডোর এমন দাবিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অসঙ্গতিপূর্ণ বলেছে নয়াদিল্লি। অন্যদিকে গোটা ঘটনার উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ‘ফাইভ আইজ’ ভুক্ত যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর