অনৈসলামিক বিবাহ মামলায় ইমরান খানকে তলব করেছে ইসলামাবাদের একটি স্থানীয় আদালত। পাকিস্তানভিত্তিক গণমাধ্যম ‘দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ এ তথ্য দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ওই আদালতটি পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে বুশরা বিবির সঙ্গে তার কথিত অনৈসলামিক বিবাহ সম্পর্কিত একটি মামলায় ২৫ সেপ্টেম্বর তলব করে।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে ‘দ্যা এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’ জানিয়েছে, সিভিল জজ কুদরতুল্লাহ দেশটির অ্যাটক জেলের সুপারিনটেনডেন্টের কাছে জারি করা এক আদেশে ইমরান খানকে আদালতে হাজির করার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে এ কারাগারে আটক আছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে পাকিস্তানে পার্লামেন্ট নির্বাচন, ইমরানকে নিয়ে অনিশ্চয়তা
পাকিস্তানভিত্তিক গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইদ্দতের সময় তৃতীয় স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগের সম্মুখীন হয়েছেন পিটিআই চেয়ারম্যান। ইদ্দত হলো একটি ইসলামী পরিভাষা - যা (মুসলিম) নারীরা বিবাহ বিচ্ছেদের পর বা তাদের স্বামীর মৃত্যুর পরে অন্য কাউকে বিয়ে করার আগে পালন করে। এ সময় একজন নারী নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাইয়ের শুরুতে পিটিআই চেয়ারম্যান এবং তার স্ত্রী ইদ্দতের বিধি ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত হন। আদালতের অভিযোগ তারা ইদ্দত পালনের সময় বিয়ে করেছেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ইমরান খানের সাজা স্থগিত, মুক্তির নির্দেশ
গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, এ বিয়ের বিষয়টিতে ইসলামাবাদের বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট কুদরতুল্লাহ একটি ৯ পৃষ্ঠার বিশদ রায় জারি করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ইমরান খানের বিরুদ্ধে কথিত অনৈসলামিক বিবাহ সম্পর্কিত মামলার আবেদনটি আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য ছিল। এরপর বিচারক ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে তার আদালতে হাজির হওয়ারও নির্দেশ দেন।
১৪ জুলাই ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ আজম খান মামলাটি বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠান। এছাড়া এ মামলার বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে করা একটি আবেদনও খারিজ করেন তিনি।
এ বিষয়ে ইমরান খান তার আবেদনে বলেছেন, মামলার উল্লিখিত অভিযোগগুলো পাকিস্তান দণ্ডবিধির (পিপিসি) ধারা-৪৯৬ এর আওতায় কোনো অপরাধ নয়। এ কারণে এ বিষয়ে কোনো বিচারিক কার্যক্রম চললে - তা হবে আইনের অপব্যবহার।
সূত্র : এএনআই, এনডিটিভি
এমইউ