শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ঢাকা

বিশ্বখ্যাত বক্সার থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী

তাসীন মল্লিক
প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২২, ০৫:৫৪ পিএম

শেয়ার করুন:

বিশ্বখ্যাত বক্সার থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী
ম্যানি প্যাকিয়াও

ম্যানি প্যাকিয়াও, ২২ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বক্সারকে কুপোকাত করে এবার নেমেছেন নিজ দেশ ফিলিপাইনের নির্বাচনের মাঠে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিতর্কিত শাসক ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। দীর্ঘ একনায়কতান্ত্রিক শাসন চালানো মার্কোসের পুত্রের সাথে তার লড়াই এবার বক্সিং রিংয়ের উত্তেজনাকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

২০২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ফিলিপাইনের নির্বাচনে নিজেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন ম্যানি প্যাকিয়াও। ১ অক্টোবর নিজ দল পিডিপি-লাবান ছেড়ে প্রগ্রেসিভ মুভমেন্ট ফর দ্যা ডেভেল্যুশন ইনিশিয়েটিভের প্রার্থী হিসেবে নিজের আত্মপ্রকাশ ঘটান তিনি।


বিজ্ঞাপন


দেশটিতে নির্বাচনী উত্তাপের মধ্যে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও অটল প্যাকিয়াও। তার ঘোষণা, ‘‘প্রতিদ্বন্দ্বীদের ঘৃণ্য প্রচারণা সত্ত্বেও প্রার্থিতা প্রত্যাহার করব না।’’

manny pacquiao in election campaign
নির্বাচনী প্রচারণায় প্যাকিয়াও

নির্বাচন সামনে রেখে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন কিংবদন্তী এই বক্সার। মুখ্য প্রতিশ্রুতি হিসেবে ঘোষণা দেন দুর্নীতির সমাধান এবং দরিদ্রদের জন্য দেশব্যাপী আবাসন প্রকল্পের।

নির্বাচনী প্রচারণার পুরোটা সময় জুড়ে বর্তমান রাষ্ট্রপতি রদ্রিগো দুতের্তে প্রশাসনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব ছিল প্যাকিয়াও। দুতের্তের বিরুদ্ধে চীনপন্থী ঝোঁকের অভিযোগ তুলে আলোচনায় আসেন প্যাকিয়াও।


বিজ্ঞাপন


‘প্যাকম্যান’ খ্যাত প্যাকিয়াওকে গণ্য করা হয় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পেশাদার বক্সারদের একজন হিসেবে। বক্সিংয়ের ইতিহাসে প্যাকিয়াও একমাত্র আট বিভাগের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এবং বারটি বড় বিশ্ব শিরোপা জিতেছেন।

বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেতনভোগী এই ক্রীড়াবিদ রাজনীতির ময়দানে নামেন ২০১০ সালে। মাত্র ছয় বছরের মধ্যে ফিলিপাইনের জাতীয় সংসদে সিনেটর নির্বাচিত হন।

বক্সিং রিংয়ে প্যাকিয়াও এতটাই সফল যে ৩৯ বার নিজ প্রতিপক্ষকে এক ঘুষিতে কাবু করেছেন। ২০২০ সালের জনমত জরিপে একুশ শতকের সেরা বক্সারদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন তিনি।

২ মে, ২০১৫ সালে প্যাকিয়াও বনাম ফ্লয়েড মেওয়েদার জুনিয়রের ম্যাচটিকে ‘শতাব্দীর লড়াই’ অভিহিত করা হয়। দুই কিংবদন্তীর লড়াইটি ছিল বক্সিং ইতিহাসের সবচেয়ে দামী ম্যাচ, ৪.৪ মিলিয়ন ডলার আয় করে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব আয়ের রেকর্ড ভেঙেছিল ম্যাচটি।

সূত্র: পিএনএ, উইকিপিডিয়া।

টিএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর