মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

গ্রাহকের টাকা চুরি, তুরস্কে ব্যবসায়ীর ১১ হাজার বছরের জেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২২ এএম

শেয়ার করুন:

গ্রাহকের টাকা চুরি, তুরস্কে ব্যবসায়ীর ১১ হাজার বছরের জেল
ফারুক ফাতিহ ওজার- ফাইল ফটো/গেটি ইমেজ/বিবিসি

গ্রাহকের কাছ থেকে দুই বিলিয়ন ডলার চুরি করেছেন এক ব্যবসায়ী। এই অপরাধে তুরস্কে ১১ হাজার ১৯৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তুর্কি ক্রিপ্টো সিইও ফারুক ফাতিহ ওজারকে।

অর্থ পাচার, জালিয়াতি এবং অপরাধী সংগঠন তৈরির অপরাধে তাকে এই কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।


বিজ্ঞাপন


খবরে বলা হয়েছে, থোডেক্স নামে ক্রিপ্টো কারেন্সি লেনদেন প্রতিষ্ঠান গঠন করেছিলেন ফারুক ফাতিহ ওজার (২৯)। তিনি ও তার দুই ভাই সেরাপ ও গুভেন আলবেনিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। ইন্টারপোলের সহায়তায় গত বছর আলবেনিয়া থেকে ফাতিহ ওজারকে গ্রেফতার করা হয়।

আরও পড়ুন: তুর্কি বায়রাক্টার ড্রোন কতটা শক্তিশালী, দাম কত?

বৃহস্পতিবার তুরস্কের একটি আদালত ফাতিহ ও তার দুই ভাইয়ের প্রত্যেককে ১১ হাজার ১৯৬ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অর্থ পাচার, জালিয়াতি এবং অপরাধী সংগঠন তৈরির অপরাধে থোডেক্সের প্রতিষ্ঠাতার ৪০ হাজার ৫৬২ বছর কারাদণ্ড আবেদন করেছিলেন। তবে আদালত কৌঁসুলির সেই আবেদন না রেখে তিন ভাইকেই ১১ হাজার ১৯৬ বছর করে কারাদণ্ড দেন।

ফাতিহ ওজার তার বিরুদ্ধে আনা অপরাধী সংগঠন তৈরির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি আদালতকে বলেছেন, ‘আমি যদি কোনো অপরাধী সংগঠন প্রতিষ্ঠান করতে পারতাম, তবে নিশ্চয়ই এত কাঁচা কাজ করতাম না।’


বিজ্ঞাপন


তুরস্কে শত বা হাজার বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দেওয়ার জন্য শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে তুরস্ক। তারপর থেকে দেশটিতে এমন দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনা সাধারণ হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন: একটানা যায় ২ হাজার কিলোমিটার, কতটা শক্তিশালী ইরানের ‘কামিকাজে’?

তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ফাতিহ ওজার ২০২১ সালের এপ্রিলে গ্রাহকদের ২০০ কোটি ডলারসহ দুই ভাইকে নিয়ে আলবেনিয়ায় পালিয়ে যান। তবে অর্থের সঠিক পরিমাণ কত তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

কৌঁসুলিরা জানিয়েছেন, ফাতিহ আলবেনিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে ৩ কোটি ডলার সরিয়ে নিয়েছিলেন তার তিনটি গোপন অ্যাকাউন্টে। এর অধিকাংশ অর্থই জমা করা হয় মাল্টার একটি ব্যাংকে। 

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর