শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ঢাকা

ব্যবহারের পানি নেই ফিলিস্তিনিদের, ইসরায়েলি বসতিতে সুইমিং পুল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

ব্যবহারের পানি নেই ফিলিস্তিনিদের, ইসরায়েলি বসতিতে সুইমিং পুল
ফিলিস্তিনে পানির সংকট (বামে), ইসরায়েলি বসতিতে সুইমিংপুলে উল্লাস (ডানে)। ছবি: এপি/আল জাজিরা

একদিকে জীনশীর্ণ গ্রাম। এর বাসিন্দারা সেখানে যুগের পর যুগ বসবাস করে আসছেন। তারপরও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য তাদেরকে প্রচন্ড সংগ্রাম করতে হয়। অপরদিকে তাদের পাশের রয়েছে বিশাল বিশাল অট্টালিকা। বিশাল বসতিজুড়ে রয়েছে বিলাসী আয়োজন। সেখানে কোনোকিছুরই তেমন কোনো অভাব নেই। যদিও আন্তর্জাতিক আইনে এসব অট্টালিকা সমৃদ্ধ বসতি সম্পূর্ণ অবৈধ।

এই ঘটনা ফিলিস্তিনের। সেখানকার আসল বাসিন্দা ফিলিস্তিনিদের বেঁচে থাকতে হচ্ছে সংগ্রাম করে। অপরদিকে অধিকৃত পশ্চিম তীরে দিন দিন বেড়েই চলছে অবৈধ ইসরায়েলিদের বসতি।


বিজ্ঞাপন


ফিলিস্তিনের গ্রামগুলোতে পানির অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে। সেখানকার কৃষকরা চাষবাষ করতে পারছেন না। মূল্যবান খেজুর গাছগুলো পানির অভাবে মারা যাচ্ছে।

জিফটলিক গ্রামে ফিলিস্তিনি খামারের একটি আর্টিসিয়ান কূপ। ছবি: এপি

এসব গ্রামে বাস করা ফিলিস্তিনিরা বলছেন যে, তারা বাচ্চাদের গোসল, কাপড় ধোয়া, পশুপাল টিকিয়ে রাখা ও গাছে দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছেন না।


বিজ্ঞাপন


কিন্তু দেয়ালের ওপারে থাকা ইসরায়েলের বসতিগুলো যেন সম্পূর্ণ বিপরীত। সেখানে ফুল ফুটছে, পুকুরভর্তি মাছা সাঁতার কাটছে। শিশু-কিশোররা সুইমিং পুলে উল্লাস করছে।

বি'টেসেলেম অনুসারে, উত্তর জর্ডান উপত্যকার ফিলিস্তিনি পশুপালক সম্প্রদায়গুলোতে পানির ব্যবহারের মাত্রা দৈনিক মাত্র ২৬ লিটার। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশকৃত দৈনিক ন্যূনতম পানির প্রয়োজন ৫০-১০০ লিটার।

ইসরায়েলি বসতির একটি মাছের খামার- এপি

বিপরীতে জর্ডান উপত্যকায় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা মাথাপিছু প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৭০০ লিটার পানি ব্যবহার করে।

পশ্চিম তীরে বসবাসকারী ৫ লাখ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা ওয়াটার গ্রিডের মাধ্যমে পানি পান। ওই লাইনে নিরবিচ্ছিন্নভাবে পানি সরবরাহ করা হয়। কিন্তু ফিলিস্তিনি গ্রামগুলোর পানির তেমন কোনো উৎস নেই। বিক্ষিপ্তভাবে নানা উৎস থেকে তারা সামান্য পরিমাণ পানি সংগ্রহ করতে পারেন।

এছাড়া ফিলিস্তিনের শহরগুলোর বেশিরভাগই নিয়ন্ত্রিত হয় ইসরায়েলি ব্যবস্থার মাধ্যমে। সেখানকার পানি সরবরাহ করা হয় ইসরায়েল থেকে। এতে পানি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রাধান্য পায় ইসরায়েলিরা।

বরদালার ফিলিস্তিনি গ্রামের কাছে একটি শুকনো জলাধার। ছবি: এপি

ফিলিস্তিনি চাহিদার তুলনায় ইসরায়েলি শহরগুলোর চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেওয়ায় পানি সরবরাহ সংকুচিত হচ্ছে। যেখানে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, সেখানে ফিলিস্তিনিরা কঠিন অনুমতি ছাড়া কূপ খনন বা গভীর নলকূপ স্থাপন করতে পারেন না।

জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ১৬০টি ফিলিস্তিনি জলাধা, পয়ঃনিষ্কাশন নেটওয়ার্ক এবং কূপ ধ্বংস করেছে। তাদের দাবি- এগুলো অননুমোদিত ছিল।

সূত্র: আল জাজিরা

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর