আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার বলেছে যে তারা বৃহস্পতিবার ৬.৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের জন্য সাতটি খনির চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। দুই বছর আগে ক্ষমতা দখলের পর এই ধরনের বড় চুক্তি করতে যাচ্ছে তারা।
আফগানিস্তানের তালেবান কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে যে তারা চীন, ইরান, তুরস্ক ও ব্রিটেনের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ৬৫০ কোটি ডলার মূল্যের খনি-চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
বিজ্ঞাপন
খনি ও পেট্রোলিয়াম বিষয়ক তালেবান মন্ত্রী শাহাবুদ্দিন দিলাওয়ার বলেন, সাতটি চুক্তির মধ্যে রয়েছে, আফগানিস্তানের চার প্রদেশ যথা তাখার, ঘোর, হেরাত ও লোগার থেকে সোনা, তামা, লোহা, সীসা ও দস্তা উত্তোলন ও তার প্রক্রিয়াজাতকরণ করা ।
এই খনি-চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি জাতীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়। এভাবে আফগান কর্তৃপক্ষ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সৈন্যদের প্রত্যাহারের দ্বিতীয় বার্ষিকী উদযাপন করে। তৎকালীন বিদ্রোহী তালেবানের সঙ্গে প্রায় ২০ বছর যুদ্ধের পর এই সেনা-প্রত্যাহার করা হয়।
দিলাওয়ার বলেন, বৃহস্পতিবার স্বাক্ষরিত এই সাতটি চুক্তি আফগানিস্তানে “মোট ৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ৭০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ নিয়ে আসবে এবং হাজার হাজার চাকরির সুযোগ তৈরি করবে।”
এই মন্ত্রী জানান, তাখারে স্বর্ণ উত্তোলনের জন্য একটি চীনা কোম্পানিকে দেওয়া চুক্তি তালেবান সরকারকে পাঁচ বছরের আয়ের ৬৫ শতাংশ এনে দেবে।
বিজ্ঞাপন
দিলাওয়ার বলেন, হেরাতে লোহা আকরিক খনন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের জন্য তুর্কি, ইরানি ও ব্রিটিশ বিনিয়োগ জড়িত। অন্যান্য চুক্তিগুলো ৩০ বছরের মধ্যে সরকারকে ১৩ শতাংশ শেয়ার অর্জনে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, "এটি ধীরে ধীরে আফগানিস্তানকে লোহা রফতানিকারক দেশে পরিণত করবে।"
২০২১ সালের আগস্টে তালেবান পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর দেশটির ওপর আরোপিত আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার উল্লেখ করে সংশয়বাদীরা চুক্তির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
এই বছরের শুরুতে, এক চীনা সংস্থা তালেবান প্রশাসনের সঙ্গে একটি জ্বালানি তেল উত্তোলন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চীন সরকার ইদানীং আফগানিস্তানের লিথিয়াম খনিতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে।
সূত্র : এবিসি নিউজ, ভোয়া, এপি
এমইউ

