শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ঢাকা

চাঁদকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ঘোষণার দাবি!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০২:৩১ পিএম

শেয়ার করুন:

চাঁদকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ঘোষণার দাবি!
ভারতের চন্দ্রযান-৩ চাঁদে সফল অবতরণ করে। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি প্রথমবারের চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রেখে ইতিহাস গড়েছে ভারত। বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সফলভাবে সফট ল্যান্ডিং করেছে দেশটির মহাকাশযান চন্দ্রযান ৩। চাঁদের যে স্থানে ভারতের চন্দ্রযান অবতরণ করেছে সেই স্থানের নাম ‘শিবশক্তি’ রেখেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার গোটা চাঁদকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ঘোষনার দাবি উঠেছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে,  চাঁদকে ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ হিসেবে ঘোষণার দাবি তুলেছেন সর্বভারতীয় হিন্দু মহাসভার সভাপতি স্বামী চক্রপাণি মহারাজ। এছাড়া  চন্দ্রযান-৩ অবতরণ করেছিল সেই স্থানটির নাম ‘শিবশক্তি’ রাখেন নরেন্দ্র মোদি। সেটিকে চাঁদের রাজধানী ঘোষণারও দাবি করেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘আমি চাই ভারতীয় পার্লামেন্ট একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে চাঁদকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করুক।’

আরও পড়ুন: চন্দ্রযান-৩-এর অবতরণ স্থলকে ‘শিবশক্তি’ নাম দিলেন মোদি

নরেন্দ্র মোদির নাম দেওয়া শিবশক্তি পয়েন্টকে চাঁদের রাজধানী ঘোষণারও দাবি করেন সর্বভারতীয় হিন্দু মহাসভার জাতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ‘চন্দ্রযান-৩ যেখানে অবতরণ করেছে সেই শিবশক্তি পয়েন্টকে রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কোনো সন্ত্রাসী জিহাদি মানসিকতা নিয়ে যাতে সেখানে পৌঁছাতে না পারে, কট্টরপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিকাশ যাতে না হয় সেজন্য চাঁদকে সনাতন হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেওয়া উচিত।’

চক্রপাণি মহারাজ বলেন, ‘শিবশক্তি পয়েন্টকে আমি শিবশক্তি ধাম হিসেবেই দেখছি। হিন্দু মহাসভা এবং সন্ত মহাসভার তরফ থেকে এই মর্মে আমরা সরকারের কাছে একটি চিঠিও লিখছি। যত দ্রুত সম্ভব চাঁদকে হিন্দুরাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক। আমার আরও একটি প্রস্তাব আছে। চাঁদে যাতায়াত শুরু হলেই ওই শিবশক্তি পয়েন্টে আমি ভগবান শিব, মা পার্বতী এবং ভগবান গণেশের একটি মন্দির তৈরি করব।’


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: ভারতীয় স্বামীকে ফেরাতে উত্তর প্রদেশ পুলিশের কাছে বাংলাদেশের সোনিয়া

এমন দাবির পর তিনি ব্যাপক প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এই প্রস্তাবটিকে শিশুসুলভ বলা সবচেয়ে কম অপমান হবে। এটাকে আমরা শুধু পাগলামি এবং অ-হিন্দু প্রস্তাব বলব।’

অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘এই ধরনের লোকেরাই যারা দেশে জাতপাত ও সন্ত্রাসবাদের প্রচার করে; তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর