ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিক্ষানীতিতে সেমিস্টার পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব ছিল। সেখানকার মন্ত্রিসভা তাতে অনুমোদনও দিয়েছে। এবার একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করতে যাচ্ছে রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
২০২৪ শিক্ষাবর্ষে যে সব ছাত্র একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হবে, তারা এই নিয়মের আওতায় পড়বে। সেমিস্টার পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করে প্রথম ফলাফল ঘোষণা হবে ২০২৬ সালে।
বিজ্ঞাপন
একাদশ শ্রেণীতে দু’টি এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে দু’টি সেমিস্টার হবে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে হবে একাদশ শ্রেণীর প্রথম সেমিস্টার। ২০২৫ সালের মার্চে হবে একাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টার। ওই বছর নভেম্বরে হবে দ্বাদশ শ্রেণীর প্রথম সেমিস্টার। ২০২৬ সালের মার্চে হবে দ্বাদশ শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টার। দ্বাদশ শ্রেণীর দু’টি সেমিস্টারের ওপর মূল্যায়ন করে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
দ্বাদশ শ্রেণীর প্রথম সেমিস্টার, যা নভেম্বরে হবে, তাতে এমসিকিউয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করার ভাবনা রয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের। ওএমআর শিটে উত্তর লিখতে হবে ছাত্রদের। দ্বিতীয় সেমিস্টার হবে নৈর্ব্যাক্তিক। ছোট, বড় মিলিয়ে প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে ছাত্রদের। প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা একটাই হবে। তা সেমিস্টারে ভাগ করা হবে না।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ২০২১ সালে উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়ন সেমিস্টার পদ্ধতিতে করার প্রস্তাব রাজ্যকে দেয় সংসদ। এই নিয়ে পরিকল্পনাও ছিল। এবার তাতে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করা সম্ভব নয়। কারণ পাঠ্যসূচি ভাগ করতে হবে। ২০২৪ সালে যে পড়ুয়ারা মাধ্যমিক পাশ করে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হবে, তারা এই নিয়মের আওতায় পড়বে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় শিক্ষানীতি (এনইপি)-তে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করার প্রস্তাব রয়েছে। তবে রাজ্য শিক্ষানীতিতে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে সেমিস্টার পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব রয়েছে। তাতে সোমবার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বিজ্ঞাপন
সূত্র : এবিপি
এমইউ

