মিয়ানমারের নোবেল বিজয়ী নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলোর মধ্য থেকে পাঁচটিতে ক্ষমা করেছে জান্তা সরকার। এসব অপরাধের জন্য সু চিকে ৩৩ বছরের জেল দেওয়া হয়েছিল। তবে ক্ষমার ঘটনাকে নাটক বলেছেন সু চির ছোট ছেলে কিম আরিস। এছাড়া মায়ের মুক্তি কামনা করেছেন ছেলে কিম আরিস।
এছাড়া জান্তার বিরুদ্ধে চাপ বাড়াতে পশ্চিমাদের প্রতি আরও শক্ত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন অং সান সু চির কনিষ্ঠ পুত্র কিম আরিস। এক প্রতিবেদনে এমন খবর দিয়েছে রয়টার্স।
বিজ্ঞাপন
সাক্ষাৎকারে কিম বলেন, তার মাকে ‘পুরোপুরি মুক্তি’ দেওয়ার সময় এসেছে। জান্তা সরকার তার মায়ের শাস্তি কমিয়ে দিলেও কারাগারে সু চির আজীবন আটকে থাকার আশঙ্কা করছেন তার ছেলে।
সু চির ছেলে বলেন, শাস্তি কমিয়ে জান্তা ভালো সাজার চেষ্টা করছে। অভ্যুত্থানের পর থেকে কোনো যোগাযোগই নেই মায়ের সাথে। গৃহবন্দি থাকার সময় সামান্য কথাবার্তার সুযোগ হতো। এখন পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রত্যাশা করি। তবে খুব শিগগিরই সুফলের কোনো লক্ষণ দেখছি না।
মায়ের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর প্রতিটিই মিথ্যা দাবি করে ব্রিটিশ নাগরিক কিম বলেন, তাকে মুক্তি দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করাই একমাত্র সমাধান। জান্তা প্রধান শিগগিরই ক্ষমতা ছাড়বে না বলেও শঙ্কার কথা জানান তিনি। জান্তার বিরুদ্ধে চাপ বাড়াতে পশ্চিমাদের প্রতি আরও শক্ত পদক্ষেপের আহ্বান জানান সু চির ছেলে।
সম্প্রতি মিয়ানমারের ধর্মীয় উৎসব আষাঢ়ে পূর্ণিমা উপলক্ষে সু চিকে পাঁচটি অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় জান্তা সরকার। এছাড়া বন্দি থাকা আরও অন্তত ৭,৭০০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। সাজা কমানো হয় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অনেকের।
বিজ্ঞাপন
পশ্চিম লন্ডনে বসবাসকারী অ্যারিস বলেছেন যে, তিনি পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও সচেতনতা আনতে সুচির সমর্থক এবং অন্যান্য জান্তা বিরোধীদের দ্বারা গঠিত ছায়া জাতীয় ঐক্য সরকারের সাথে কাজ করছেন।
একে