প্রায় ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতে মুসলমানদের সংখ্যাও অনেক। তবে এটি ঠিক কতো সেটি সংসদে জানতে চেয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মালা রায়। তার প্রশ্নের লিখিত জবাব দিয়েছেন ভারতের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের জন্য ভারতে আনুমানিক মুসলিম জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৯.৭ কোটি।
বিজ্ঞাপন
স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী মুসলমানরা মোট জনসংখ্যার ১৪.২ শতাংশ ছিল। অনুমান করা হচ্ছে ২০২৩ সালের মধ্যে তাদের জনসংখ্যা ১৯.৭ কোটিতে পৌঁছবে, যা ২০১১ সালের তুলনায় ২.৫ কোটি বেশি। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ছিল ১৭.২ কোটি।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের জন্য ভারতের আনুমানিক জনসংখ্যা হবে ১৩৮.৮ কোটি। ১৪.২ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যার হিসেব ধরলে ২০২৩ সালে মুসলমানদের জনসংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ১৯.৭ কোটি।
জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্য ছাড়াও সাক্ষরতার হার, শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ এবং আবাসন, বাথরুম এবং পানির মতো প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা ভোক্তাদের সম্পর্কেও বিশদ বিবরণ দিয়েছেন ভারতের মন্ত্রী।
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মালা রায় দেশের মুসলিম জনসংখ্যা বিষয়ক তথ্যগুলো জানতে চেয়েছিলেন।
বিজ্ঞাপন
জাতিসংঘের হিসাবে এ বছরের মাঝামাঝি চীনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দেশ হওয়ার কথা ভারতের। অবশ্য কিছু বিশ্লেষকের ধারণা, বাস্তবে ইতোমধ্যে চীনের জনসংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত।
তবে স্মৃতি ইরানির এই তথ্য জানানোর পর বিতর্ক শুরু হয়েছে। ভারতীয় মুসলমানদের জনসংখ্যা নিয়ে লোকসভায় স্মৃতি ইরানির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতীয় প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ আসাদুদ্দিন ওয়াইসি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেছেন যে মুসলিম জনসংখ্যা ২০ কোটির বেশি হবে না। অথচ ডানপন্থী দলগুলো বিশ্বাস করে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ভারতে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে। তারা যদি মৌলিক গণিত না বোঝে, আমি আশা করি, তারা অন্তত মোদি সরকারকে বিশ্বাস করবে।’
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
একে

