বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

যুক্তরাষ্ট্রের চোখে চোখ কিমের, কোরীয় উপদ্বীপে বাড়ছে উত্তেজনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২৩, ০৭:৪০ এএম

শেয়ার করুন:

যুক্তরাষ্ট্রের চোখে চোখ কিমের, কোরীয় উপদ্বীপে বাড়ছে উত্তেজনা
দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সাবমেরিন ও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র- ফাইল ফটো

দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির জবাবে নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিচ্ছেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। যুক্তরাষ্ট্রের চোখে চোখ রেখে কথা বলছে পিয়ংইয়ং। এমন অবস্থায় কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা ফের বাড়ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে দ্বিতীয় মার্কিন পরমাণু শক্তিচালিত সাবমেরিন পৌঁছার পর ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান এমন তথ্য জানিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


দক্ষিণ কোরিয়ার যুগ্ম চিফ অফ স্টাফ বলেন, সোমবার দিবাগত গভীর রাতে উত্তর কোরিয়া তার পূর্ব উপকূল থেকে সমুদ্রে একটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে, যেটি ছোঁড়া হয়েছে তা উত্তর কোরিয়ার একটি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হতে পারে।

উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সামরিক উপকরণ মোতায়েন করে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র সামরিক প্রস্তুতি বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়ায় কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।

us submarine south korea
দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সাবমেরিন। ছবি: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

উত্তর কোরিয়া ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানিয়েছে, এই ধরনের মোতায়েন তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কারণ হতে পারে।

এর আগে সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে কয়েকদিনের ব্যবধানে পৌঁছায় যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় পরমাণু চালিত সাবমেরিন। এর কয়েকদিন আগে চার দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পরমাণু চালিত প্রথম মার্কিন সাবমেরিন দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছায়।

উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান হুমকি ও সামরিক কর্মকাণ্ডের মোকাবেলা করতে ওই অঞ্চলে কৌশলগত অস্ত্রের মজুদ বাড়াচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনী জানিয়েছে, ইউএসএস আনাপোলিস একটি অনির্দিষ্ট অপারেশনাল মিশনে থাকাকালীন সামরিক সরবরাহ লোড করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ দ্বীপ জেজুতে একটি নৌ ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে।

এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরীয় বাহিনী জানিয়েছে, 'দুই দেশের নৌবাহিনী ইউএসএস অ্যানাপোলিসের আগমনের সঙ্গে সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ভঙ্গি শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করেছে এবং জোটের ৭০তম বার্ষিকী উদযাপনে বিনিময় কার্যক্রম পরিচালনা করবে।'

এর আগে মার্কিন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন ইউএসএস কেনটাকি গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্দরে পৌঁছায়।  ১৯৮০ এর দশকের পর এটি ছিল মার্কিন পরমাণু-সশস্ত্র ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিন (এসএসবিএন) এর প্রথম সফর।

ইউএসএস কেনটাকি দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর গত বুধবার উত্তর কোরিয়া দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে এবং শনিবার আবারও কয়েকটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

ইউএসএস অ্যানাপোলিস ইউএসএস কেনটাকির মতো পারমাণবিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত নয়। তবে এটি জাহাজ-বিরোধী এবং সাবমেরিন-বিরোধী যুদ্ধে পারদর্শী। এটি গত সেপ্টেম্বরে কোরীয় উপদ্বীপের আন্তর্জাতিক জলসীমায় দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের সাথে ত্রিপক্ষীয় অ্যান্টি-সাবমেরিন অনুশীলনে যোগ দিয়েছিল।

সূত্র: রয়টার্স

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর