শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ঢাকা

অবৈধ অভিবাসী রুখতে নতুন আইন যুক্তরাজ্যে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২৩, ০৫:০৮ পিএম

শেয়ার করুন:

অবৈধ অভিবাসী রুখতে নতুন আইন যুক্তরাজ্যে

আফ্রিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ জীবন বাজি রেখে অবৈধভাবে পাড়ি জমায় ইউরোপে। তবে এসব অবৈধ অভিবাসী রুখতে 
নতুন বিল আনল যুক্তরাজ্য।

সোমবার গভীর রাতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ হাউস অব লর্ডসে দীর্ঘ বিতর্কের পরে শরণার্থী বিল পাশ হয়। রাজা তৃতীয় চার্লস সই করলে এটি আইনে পরিণত হবে।


বিজ্ঞাপন


নতুন বিলে বলা হয়েছে, ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে যে সব শরণার্থী নৌকা করে ব্রিটেনের উপকূলে এসে পৌঁছন, তাদের শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া যাবে না। ব্রিটেনের পছন্দ মতো কোনও ‘তৃতীয়’ দেশ, যেমন আফ্রিকার দরিদ্র দেশ রুয়ান্ডায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। 

নিজের দেশে আইনে পরিণত হওয়ার পরে যুক্তরাজ্যকে ফের এই আইন ইউরোপীয় আদালতে পেশ করতে হবে। সুনাক সরকার জানিয়েছে, গত বছরের রায়ের বিরুদ্ধে আগামী মাসেই আদালতে আপিল করবে তারা।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ সরকারের এই বিলের কড়া সমালোচনা করেছে রাষ্ট্রসংঘ। আন্তর্জাতিক মঞ্চে শরণার্থীদের পুনর্বাসন নিয়ে যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। নতুন বিলটি তার সম্পূর্ণ পরিপন্থী বলে তোপ দেগেছেন রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্রান্ডি। 

যুক্তরাজ্যের কনজারভেটিভ সরকার বরাবরই কড়া শরণার্থী নীতির পক্ষে সওয়াল করে এসেছে। আগামী নির্বাচনে এটাই তাদের তুরুপের তাস হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।


বিজ্ঞাপন


উল্লেখ্য, ২০১৮ থেকে যুক্তরাজ্যে এসে পৌঁছনো শরণার্থীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। গত বছর ৪৫ হাজারেরও বেশি শরণার্থী ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছে। 

নতুন বিলের বিষয়ে সুনাক সরকার দাবি করে, মহামারি ও ব্রেক্সিট-পরবর্তী পরিস্থিতিতে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কড়া হাতে শরণার্থী সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে। সুনাকের পূর্বসূরি বরিস জনসন প্রথম ‘রুয়ান্ডা প্ল্যান’ এর ঘোষণা করেছিলেন। গত মাসে সেই পরিকল্পনা বাতিল করে দেয় মানবাধিকার বিষয়ক ইউরোপীয় আদালত।

একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর