পাকিস্তানের প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ার আবহাওয়া বিভাগ বলছে যে, প্রদেশটির সমভূমিতে তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং এর উত্তরাঞ্চলে দুই থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও প্রকাশ করেছে যে ব্যাপক গাছ কাটার ফলে তাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় আবহাওয়ার উপর খারাপ প্রভাব ফেলেছে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ডন।
বিজ্ঞাপন
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ইজাজ আহমেদ বলেন, 'যদি আপনি ২০২৩ সালের সাথে ১৯৯৩ সালের তুলনা করেন, তাহলে আমাদের সমভূমিতে তাপ সূচক ২-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং উত্তরাঞ্চলে ২-৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে।'
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়ে পাকিস্তানজুড়ে। আর্দ্রতা বেশিরভাগই বঙ্গোপসাগর থেকে আসে, যার কারণে বৃষ্টি হয়। এই ঘূর্ণিঝড়গুলো আর্দ্রতা চুষে নেয়।
ওই কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়টি ২০ জুন থেকে ২৪ জুন একটি তাপপ্রবাহ শুরু করেছিল। ঘূর্ণিঝড়টি শেষ হওয়ার পর তাপমাত্রা কমে যায়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আরব সাগর থেকে বাতাসের কারণে বৃষ্টি হয়েছে। কারণ এটি পশ্চিমাঞ্চলীয় আবহাওয়া সিস্টেমের সঙ্গে মিশ্রিত হয়ে বেশিরভাগ উত্তর আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে।
বিজ্ঞাপন
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং অনিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যা প্রদেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রধান কারণ।
একে