শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

উচ্চশিক্ষা: ইংরেজি ছাড়া ভিন্ন ভাষার যেসব দেশ জনপ্রিয় হচ্ছে

অভিবাসন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২৩, ০২:৪৩ পিএম

শেয়ার করুন:

উচ্চশিক্ষা: ইংরেজি ছাড়া ভিন্ন ভাষার যেসব দেশ জনপ্রিয় হচ্ছে

উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মতো ইংরেজি ভাষাভাষীর দেশগুলোকে বেছে নিলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন, জাপান, তুরস্ক, দক্ষিণ কোরিয়া ও জার্মানির মতো ভিন্ন ভাষার দেশগুলোর প্রতিও আগ্রহী হচ্ছেন।

এর কারণ হিসেবে ওইসব দেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা বলছেন, সেখানে ভাষাগত ব্যবধান থাকলেও স্কলারশিপের সুযোগ বেশি থাকে। টিউশন ফি’র সঙ্গে থাকা খাওয়ার খরচও অনেক কম। আবার পড়াশোনার পাশাপাশি কাজেরও সুযোগ পাওয়া যায়।


বিজ্ঞাপন


higher-studyজাপান

উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জাপানে যাওয়ার প্রচলন আগে থাকলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও বেড়েছে। জাপানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল থেকে শুরু করে সামাজিক বিজ্ঞান, মেডিকেল, সাহিত্য, ব্যবসা প্রশাসন, পরিবেশসহ যেকোনো বিষয়ে অ্যাসোসিয়েট ডিগ্রি, স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।

এর মধ্যে স্নাতক ডিগ্রির মেয়াদ বিষয়ভেদে চার থেকে ছয় বছর। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির মেয়াদ দুই বছর এবং পিএইচডির মেয়াদ বিষয়ভেদে তিন থেকে চার বছর হয়ে থাকে।

জাপানে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের বড় ধরনের সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে স্কলারশিপের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি।


বিজ্ঞাপন


এর মধ্যে জনপ্রিয় স্কলারশিপ হলো মেক্সট স্কলারশিপ। এছাড়া এডিবি-জাপান স্কলারশিপ প্রোগ্রাম, জাপান-বিশ্বব্যাংক বৃত্তিও উল্লেখযোগ্য। এসব বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি, ভর্তি ফি, থাকা-খাওয়া ও যাতায়াত খরচ, বই কেনা, হাত খরচ, চিকিৎসা ভাতা এমনকি জাপানে আসার বিমান ভাড়াও অন্তর্ভুক্ত থাকে।

স্কলারশিপ পেতে দেশটির সরকারি ওয়েবসাইট ও পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নিয়মিত নজর রাখতে বলেছেন সেখানকার শিক্ষার্থীরা। স্কলারশিপ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিউশন ফি বছরে ৭ লাখ থেকে ১২ লাখ ইয়েন হয়ে থাকে। বাংলাদেশি টাকায় যা ৬ থেকে ১০ লাখের মতো। এজন্য বাংলাদেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী দেশটিতে স্কলারশিপ নিয়েই পড়তে যান।

বিদেশি শিক্ষার্থীরা জাপানে সপ্তাহে সাধারণত ২৮ ঘণ্টার মতো কাজের সুযোগ পান। কিন্তু এক্ষেত্রে ভাষা জানাটা বেশ জরুরি।

স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে ইংরেজি ভাষায় পাঠ্যক্রম থাকায় জাপানি ভাষা না জানলেও খুব একটা সমস্যা নেই। তবে স্নাতকের জন্য ভাষা শিখতেই হবে। জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জাপানি ভাষা শেখার সুযোগ রয়েছে। আবার শিক্ষার্থীরা চাইলে বাংলাদেশ থেকে শিখে যেতে পারেন।

higher-studyচীন

উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশের অনেক শিক্ষার্থীদের প্রিয় গন্তব্য এখন চীন। দেশটির শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে— সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পিকিং ইউনিভার্সিটি, ফুদান ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইন চায়না, ঝেজিয়াং ইউনিভার্সিটি এবং উহান ইউনিভার্সিটি।

বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, মেডিকেল, সমাজ বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা, কৃষিসহ আরও নানা বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রির সুযোগ রয়েছে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে মেডিকেল স্কুলগুলোতে পড়তে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের অনুমতিপত্র লাগে।

প্রতিবছর চীন বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রচুর স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো চায়না স্কলারশিপ কাউন্সিল-চায়না গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ। এছাড়া কনফুসিয়াস স্কলারশিপ, কাউন্সিল রোড এন্ড বেল্ট স্কলারশিপ, মফকম স্কলারশিপ, কাস টাওয়াস স্কলারশিপ, ইউনিভার্সিটি প্রেসিডেন্সিয়াল স্কলারশিপ, প্রভিন্সিয়াল স্কলারশিপ, এন্টারপ্রাইস স্কলারশিপ, ইয়েস চায়না স্কলারশিপ সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব কিছু স্কলারশিপের অফার করে থাকে।

এসব বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীর টিউশন ফি, হোস্টেল ফি, স্বাস্থ্যবিমা, মাসিক ভাতা সব অন্তর্ভুক্ত থাকে।

higher-studyচীনে পড়তে হলে হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া চীনা ভাষা শেখাটা বাধ্যতামূলক না। সেখানকার স্নাতকোত্তর ও পরবর্তী পর্যায়ে ইংরেজি ভাষায় পড়ানো হয়। তবে জীবনযাপন সহজ করার জন্য চীনা ভাষা শেখা জরুরি।

যদি কেউ স্কলারশিপ ছাড়া পড়তে যান সেই খরচও বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাইতে তুলনামূলক কম। চীনের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, স্নাতকে পড়তে ১৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার ইউয়ান বা বাংলাদেশি টাকায় আড়াই লাখ থেকে আট লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

তবে চীনে কেউ স্কলারশিপে পড়াশোনা করতে আসলে তাদের বৈধভাবে কাজের কোন সুযোগ নেই।

সাধারণত প্রথম কাতারের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আইইএলটিএস বা এইচএসকে (চীনা ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা) দরকার হয়। তবে কেউ যদি ইংরেজি মাধ্যমে লেখাপড়া করে থাকে, তাহলে এমওআই (মিডিয়াম অব ইন্সট্রাকশন) সনদ দিয়ে আবেদন করা যাবে।

চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা দূতাবাসের ওয়েবসাইট কিংবা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করা যেতে পারে।

তবে সেখানকার শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি।

higher-studyজার্মানি

উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় যুক্তরাজ্যের পরের অবস্থানেই রয়েছে জার্মানি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, জার্মানিতে বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট কিছু ডিগ্রি প্রোগ্রামে বিনা পয়সায় উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ পাওয়া যায়। এছাড়া শিক্ষা-বৃত্তির সুবিধাও রয়েছে।

দেশটির প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আছে টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ, ফ্রি ইউনিভার্সিটি বার্লিন, হামবোল্ট ইউনিভার্সিটি অব বার্লিন, কেআইটি ইত্যাদি।

ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি সামার সেশন এবং মে থেকে জুলাই উইন্টার সেশন- এই দুই সময়কে টার্গেট করে আবেদন জমা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সেখানকার শিক্ষার্থীরা।

তবে স্কলারশিপ ছাড়া জার্মানিতে পড়ালেখা বেশ ব্যয়বহুল। বিষয়ভেদে বছরে তিন হাজার থেকে ২৫ হাজার ইউরো টিউশন ফি দিতে হয়। অর্থাৎ সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে ত্রিশ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

এছাড়া প্রথম বছর থাকা-খাওয়ার খরচ চালাতে আগে থেকেই প্রায় ১২ হাজার ইউরো বা প্রায় ১২ লাখ টাকার মতো সিকিউরিটি মানি জার্মানিতে নির্দিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দিয়ে রাখতে হয়। শিক্ষার্থীরা জার্মানিতে গেলে তাকে প্রতি মাসে ওই টাকা থেকে অল্প অল্প করে খরচ দেয়া হয়। তবে কাজ করার সুযোগ থাকায় অনেকে আংশিক স্কলারশিপ পেলেও জার্মানি চলে আসেন।

দেশটিতে যেতে জার্মান ভাষা শেখা বাধ্যতামূলক নয়। তবে ভাষাটি জানা থাকলে ছোট-বড় যেকোনো শহরেই কাজ পাওয়া সহজ হয়।

জার্মানিতে পড়তে গেলে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আইইএলটিএস করে যাওয়ার শর্ত দেয়।

higher-studyতুরস্ক

উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় যুক্ত হয়েছে তুরস্ক। কারণ, বাংলাদেশের প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় তুরস্কের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার খরচ কম। এছাড়া বৃত্তির সুযোগও অনেক বেশি।

সমাজ বিজ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, ব্যবসায়ে প্রশাসনের বিভিন্ন বিষয় সেই সঙ্গে ইসলামের ইতিহাস এবং প্রত্নতত্ত্ব বিষয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পিএইচডি এবং রিসার্চ প্রোগ্রামের সুযোগ রয়েছে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে।

তুরস্কে ২০৯ টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ১২৯টি সরকারি ও ৭৬টি বেসরকারি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলোতেই বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পড়ার সুযোগ রয়েছে।

সেখানকার শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দেশটিতে বছরে দুই সেমিস্টারে ৫০ হাজার থেকে ৪ লাখ পর্যন্ত খরচ হয়। এছাড়া থাকা খাওয়ার খরচও বেশ কম।

তবে শিক্ষাবৃত্তি পেলে এই খরচটুকুও করতে হয় না। কারণ, স্কলারশিপের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও টিউশন ফি, এক বছরের তুর্কি ভাষা কোর্স ফি, থাকা-খাওয়া, স্বাস্থ্যবিমা, মাসিক ভাতা, প্রথমবার যাওয়া ও পড়ালেখা শেষ করে দেশে ফেরার বিমান টিকিটের টাকা পাওয়া যায়। মাস্টার্স এবং পিএইচডির শিক্ষার্থীদের পরিবারসহ থাকার সুযোগ রয়েছে।

স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা মাসে ৮০০ লিরা (প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা), স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা মাসে ১১০০ লিরা (প্রায় ৬ হাজার টাকা) ও পিএইচডি শিক্ষার্থীরা মাসে ১৬০০ লিরা (প্রায় ৮ হাজার টাকা) পেয়ে থাকেন বলে জানা গিয়েছে।

দেশটিতে বছরে সেপ্টেম্বর-ফেব্রুয়ারি সামার সেশন এবং মার্চ-জুন ফল সেশনে ভর্তি হওয়া যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য নির্দিষ্ট বয়সসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, স্নাতকের জন্য আবেদন করতে শিক্ষার্থীর বয়স ২১ বছরের নিচে, স্নাতকোত্তরে আবেদনের বয়স ৩০ বছরের নিচে, পিএইচডিতে ৩৫ বছরের নিচে হতে হবে। এছাড়া রিসার্চ প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে বয়স ৪৫ বছরের নিচে থাকার শর্ত দেয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার ওপরও জোর দেয়া হয়েছে। কিন্তু তুরস্কে আইইএলটিএস স্কোর গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন ওই দেশের শিক্ষার্থীরা।

তুরস্কে শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ নেই বললেই চলে। বড় দুই একটি শহরে শিক্ষার্থীরা কাজ করতে পারলেও সেই আয় দিয়ে টিউশন ফি যোগানো সম্ভব হয় না। খুব বেশি হলে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হতে পারে। তাই স্কলারশিপ না পেলে পুরো টিউশন ফি নিয়েই পড়তে আসতে হবে।

higher-studyদক্ষিণ কোরিয়া

বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়াকে বেছে নিচ্ছেন। বিশ্ব র‍্যাংকিংয়ে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান উপরের দিকে থাকা এর একটি কারণ হিসেবে বলছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সে অনুযায়ী টিউশন ফি খুব বেশি নয়। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আবাসনের ব্যবস্থা থাকায় থাকা খাওয়ার খরচ সীমিত। রাজধানী সোলের মতো বড় শহরের বাইরে অন্যান্য শহরগুলোতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকলেও খরচ কম হয় বলে জানিয়েছেন সেখানকার শিক্ষার্থীরা।

দেশটিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ২০০টির বেশি শিক্ষাবৃত্তির সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো কোরিয়ার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন পরিচালিত গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ প্রোগ্রাম (জিকেএস)। এর মাধ্যমে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তিসহ কোরিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেলে সাধারণত ইংরেজি ও কোরিয়ান দুটি ভাষার দক্ষতার প্রমাণপত্র দেখাতে হয়। সেখানে স্নাতক ডিগ্রির মেয়াদ সাধারণত তিন থেকে চার বছর, স্নাতকোত্তর ডিগ্রির মেয়াদ এক থেকে দুই বছর এবং পিএইচডি ডিগ্রির মেয়াদ তিন থেকে পাঁচ বছর হয়ে থাকে।

এদিকে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা তাদের উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, ডেনমার্ক, রাশিয়া, ইউক্রেন, ফিনল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফ্রান্স, সুইডেন, হাঙ্গেরি, স্পেন, চেক রিপাবলিক, ইত্যাদি দেশকে বেছে নিচ্ছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর