বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ভূমধ্যসাগর থেকে ৬০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে ইতালি

অভিবাসন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ০৬:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

ভূমধ্যসাগর থেকে ৬০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে ইতালি
ফাইল ছবি

ইউরোপে যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগর থেকে অন্তত ৬০০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে ইতালির উপকূলরক্ষীরা। একটি মাছ ধরা নৌকাতে চড়ে তারা পাড়ি দিচ্ছিলেন।

রোববার তাদের উদ্ধার করে তিন ধাপে দেশটির তিনটি বন্দরে নিয়ে যায় উপকূলরক্ষীরা।


বিজ্ঞাপন


ইতালির বার্তা সংস্থা আনসা জানিয়েছে, সোমবার ভোরে ২০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে সিসিলির পূর্ব উপকূলের বন্দর শহর কাতানিয়ায় নামানো হয়। তার কিছুক্ষণ আগে, আওগুস্তার সিসিলিয়ান বন্দরে ৩০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীকে নিয়ে আসে ইতালির নৌবাহিনীর অপর একটি জাহাজ। রোববার সন্ধ্যায় বাকি ১০০ জনকে ইউরোপের বহিঃসীমান্ত সংস্থা ফ্রন্টেক্সের একটি জাহাজে করে সিসিলি নিয়ে আসা হয়।

italy-migrants-rescueভূমধ্যসাগরে থাকা নৌকাটি সিসিলির উপকূল থেকে দক্ষিণ-পূর্বদিকে পৌঁছাতেই দুর্যোগের মুখে পড়ে। সাগরের ওই অংশটি ছিল মাল্টার অনুসন্ধান ও উদ্ধার অঞ্চলের আওতাধীন। সেখান থেকেই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করে ইতালির উপকূলরক্ষীরা।

ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এখন পর্যন্ত নৌকা নিয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছেছেন অন্তত ৩২ হাজার ৭০০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী। গত বছর ঠিক এই সময়ে সংখ্যাটি ছিল মাত্র আট হাজার ৪০০। উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দিতে গিয়েও হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশটিকে।

সম্প্রতি ভূমধ্যসাগর হয়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন ‘তীব্রভাবে বেড়ে’ যাওয়ায়,পরিস্থিতি সামাল দিতে ১১ এপ্রিল দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে দেশটির ডানপন্থি জর্জা মেলোনি সরকার। এমন পরিস্থিতিতে ইতালির প্রতি সংহতি জানাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভু্ক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় পিপলস পার্টি- ইপিপি এর নেতা মানফ্রেড ভেবার।


বিজ্ঞাপন


ইতালিয়ান সংবাদপত্র কোরিয়ারে দেলা সেরা’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইপিপি প্রধান বলেন, ‘ইউরোপে আরেকটি বড় অভিবাসন সংকট মোকাবিলা করছি আমরা। আমরা চাই, ইউরোপীয় ব্লক এটিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়ে সংকট সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আর তাই ইতালি সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে ইপিপি।’

অনিয়মিত অভিবাসনে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ভূমধ্যসাগরীয় রুটটি স্থিতিশীল করতে হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোকে যৌথভাবে করতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএম জানিয়েছে, এ বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এ রুটে ৪৪১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। এ সংখ্যাটি যা ২০১৭ সালে ছিল ৪৪১ এবং ২০১৫ সালে ছিল ৪৪৬।

সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস

এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর